|
|
|
|
টোলপ্লাজায় মারামারি, অভিযুক্ত ফের তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি ছিল। হঠাৎ তা বদলে গেল মারামারিতে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির শাসক তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই। অভিযোগ, অবস্থান করার নামে তৃণমূল নেতা বিবেক মুখোপাধ্যায় ও অলোক আচার্যের নেতৃত্বে টোলের নিরাপত্তরক্ষী ও কর্মীদের মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ২ লক্ষ টাকা ও গলার হার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে টোলপ্লাজা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, টোলের নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মীরা অভিযোগ জানিয়েছেন। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই গোষ্ঠীর নেতা বিবেক মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “টোলপ্লাজায় দলনেত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউট, পোস্টার ছিল। কয়েক দিন ধরেই দেখছি, কারা সে-সব ছিঁড়ে ফেলেছে। তা ছাড়াও টোলপ্লাজা সম্প্রসারণের কাজও চলছে। যাতে মানুষের সমস্যা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই অবস্থান-বিক্ষোভের কর্মসূচি নেওয়া হয়। কোনও মারামারির ঘটনা ঘটেনি।” অন্য দিকে, টোলপ্লাজার কর্মী অলোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “অবস্থানের নামে পূর্ব-পরিকল্পনা মতো টোলে ঢুকে আমাদের মারধর করা হয়েছে। কর্মীদের মাইনে দেওয়ার জন্য ২ লক্ষ টাকা ছিল। তা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। কর্মীদের গলার হার ছিনতাই করা হয়েছে। কর্মীদের বাইরে বের করে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা মারামারিতে বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়।”
হঠাৎ কেন এমন ঘটল? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা। কিছু দিন আগেই টোল-প্লাজায় কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল ডেবরা। মিছিল, পাল্টা মিছিলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল টোলপ্লাজা। যে কোনও সময়ে সংঘর্ষ ঘটারও আশঙ্কা ছিল। পরবর্তীকালে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। পরে কর্মী নিয়োগ ও টোলপ্লাজা চালু হয়েছিল। দলীয় সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে জয়ী হয়েছিলেন ডেবরার বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি গোষ্ঠীর অনুগামীরা। কারণ, বিধায়কের সিদ্ধান্ত মতোই কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। তাতে অনেক দিন থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছিলেন বিবেক মুখোপাধ্যায় ও অলোক আচার্যের গোষ্ঠী। কারণ, তাঁরা টোলপ্লাজায় লোক ঢোকাতে পারেননি। লোক ঢোকানোয় টোলপ্লাজার কর্মীরাও বিধায়কের অনুগামী হয়ে পড়েন। তাই কী ভাবে বদলা নেওয়া যায়, বিরুদ্ধ গোষ্ঠী তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা চালাচ্ছিল। অবশেষে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি নেয়। কর্মসূচি পালনের নামে চালানো হয় তাণ্ডব। বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি বলেন, “টোলপ্লাজায় কী একটা গণ্ডগোল হয়েছে বলে শুনেছি। টোলপ্লাজার লোকজনই সে সম্বন্ধে বলতে পারবেন। আমার বিশেষ কিছুই জানা নেই।” |
|
|
|
|
|