|
|
|
|
পুরসভা প্রস্তাব দেবে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগামী বছর ভোট মেদিনীপুর পুরসভায়। তার আগে ওয়ার্ড-সংখ্যা বাড়তে পারে। ৫ জুন মেদিনীপুর পুরসভায় বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই মিটিংয়ের আলোচ্যসূচিতে ওয়ার্ড-পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি থাকছে। এখন ২৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। এলাকা পুনর্বিন্যাস করে আরও ৪টি ওয়ার্ড বাড়ানোর পক্ষে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। তবে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি। জানা গিয়েছে, ৫ তারিখের মিটিংয়ে একটি কমিটি গড়া হতে পারে। ওই কমিটি এ সংক্রান্ত নানা প্রস্তাব খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবে। পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “আগে শহরের জনসংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫২ হাজার। এখন তা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওয়ার্ড বাড়ানো দরকার।” ক’টি ওয়ার্ড বাড়ানো দরকার? পুরপ্রধান বলেন, “শহরে ২৮টি ওয়ার্ড হলে ভাল হয়।” এখন মেদিনীপুর পুরসভার ৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নেই। শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর প্রফুল্ল শাসমল আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তিনি পুরসভায় বিরোধী দলনেতাও ছিলেন। পরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ভানুরতন গুঁইন প্রয়াত হন। গত সোমবার এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবী চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরে শহরের ২টি ওয়ার্ডে (২৩ ও ৯) কাউন্সিলর না-থাকায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে পুর-পরিবেষা ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ। উপনির্বাচন কবে হবে, তা ঠিক করে রাজ্য নির্বাচন দফতর। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কাউন্সিলরের মৃত্যু হলে তা জেলাশাসকের মারফৎ রাজ্য নির্বাচন দফতরে জানিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এ বার নির্বাচন দফতরই দিনক্ষণ ঠিক করবে। এক সময়ে মেদিনীপুর পুর-শহরে ১৯টি ওয়ার্ড ছিল। পরে ২১টি হয়। তারও পরে ২৪টি ওয়ার্ড গঠন করা হয়। পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, একটি ওয়ার্ডে বেশি সংখ্যক মানুষ বসবাস করলে পরিষেবা ব্যাহত হয়। সব এলাকায় সময় মতো পুর-পরিবেষা দেওয়া সম্ভব হয় না। আগের থেকে এখন শহরের চেহারা পাল্টেছে। নতুন নতুন বসতি গড়ে উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবে জনসংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওয়ার্ড-সংখ্যা বাড়ানো দরকার। জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগেও এক বার শহরে ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে, শেষমেশ তা সম্ভব হয়নি। এ বার ওয়ার্ড সংখ্যা না-বাড়লে পরবর্তীকালে সমস্যা হতে পারে বলেই মনে করছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম কাউন্সিলর গোপাল ভট্টাচার্য বলেন, “আলোচনার পরেই এ নিয়ে যা বলার বলব।” |
|
|
|
|
|