|
|
|
|
মার্কশিট নিতে টাকা, অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের অমরদা অঞ্চলের আঠাঙ্গি গ্রামের ‘ছয়হাজারি হাইস্কুলের’ ছাত্রছাত্রীদের থেকে স্কুল-কর্তৃপক্ষ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন অভিভাবকদের একাংশ। মঙ্গলবার মার্কশিট দেওয়ার সময় উত্তীর্ণ-পরীক্ষার্থী পিছু একশো টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই স্কুল থেকে এ বার ৮৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৮ জন। এলাকায় গরিব মানুষের সংখ্যাই বেশি। পড়ুয়াদের সিংহভাগই দুঃস্থ পরিবারের। অভিযোগ, যে সব পড়ুয়ার কাছে টাকা ছিল না, তাদের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়। টাকা দেওয়ার পরই মার্কশিট মেলে। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রতিবারই স্কুল-কর্তৃপক্ষ এই টাকা নেন। আগে টাকার পরিমাণ কম থাকলেও এখন পরীক্ষার্থী পিছু একশো টাকা ধার্য করা হয়েছে। জেলা স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের বক্তব্য, মার্কশিটের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার কোনও সরকারি নীতিগত নিয়ম নেই। এভাবে টাকা নেওয়া নিয়ম বিরুদ্ধ।
ছয়হাজারি হাইস্কুলের ‘টিচার-ইন-চার্জ’ সমীর পাত্রের অবশ্য বক্তব্য, “স্কুল-সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষেই টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে জোরাজুরি করা হয়নি।” টাকা নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তৃণমূলপন্থী স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক সমীর সেনাপতি বলেন, “আমাদের স্কুলটি বরাবরই সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত। স্কুলের নিজস্ব তহবিলও নেই। পড়ুয়াদের কাছ থেকে বাড়তি ফি নেওয়া হয় না। এ বার রবীন্দ্রজয়ন্তীতে ছাত্রছাত্রীদের মুড়ি খাওয়াতে চারশো টাকা খরচ হয়েছে। পরীক্ষার মার্কশিট আনতেও খরচ লেগেছে। অধিকাংশ খরচই শিক্ষকেরা বহন করেন। তাই স্কুল ছেড়ে যাওয়া মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের থেকে আমরা সাধ্যমতো সাহায্য চেয়ে থাকি।” স্কুল-সম্পাদকের আরও দাবি, “সবার কাছ থেকে একশো টাকা নেওয়া হয়নি। কেউ পঞ্চাশ টাকা বা তারও কম টাকাও দিয়েছে।” যদিও স্কুল-সম্পাদকের দাবি মানতে নারাজ অভিযোগকারী অভিভাবকেরা। |
|
|
|
|
|