|
|
|
|
দুই পুরসভায় ভোট |
সব বুথই স্পর্শকাতর, থাকছে ১৩০০ পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সেই মনোনয়ন-পর্ব থেকেই প্রার্থী বা তাঁর পরিজনকে মারধর, অপহরণ, প্রচারে বাধার অভিযোগ চলছে। ফলে, রবিবার হলদিয়া ও পাঁশকুড়ায় পুরভোটের দিনটা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নয়, আমজনতাও। তবে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তার আয়োজনই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশ-প্রশাসন। দুই পুরসভার ভোটগ্রহণ ঘিরে প্রশাসনিক ও পুলিশি তৎপরতা এখন তুঙ্গে।
হলদিয়া পুরসভার ২৬টি ওয়ার্ডের ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৪৭ জন ভোটারের ভোটগ্রহণের জন্য ১৪৮টি বুথ থাকছে। পাঁশকুড়া পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের ৩৪ হাজার ৭৪০ জন ভোটারের ভোটগ্রহণের জন্য থাকছে ৪৩টি বুথ। দুই পুরসভার প্রতিটি বুথকেই ‘স্পর্শকাতর’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। প্রতিটি বুথেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “হলদিয়া ও পাঁশকুড়া পুরসভার ভোটগ্রহণের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি বুথেই সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরেও পুলিশি টহলদারি চলবে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৩০০ পুলিশ-কর্মী থাকছেন পুরভোটের নিরাপত্তার আয়োজনে।”
দুই পুরসভার নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী প্রার্থীদের বাধা, মারধর, অপহরণ, জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার, প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুধু বামেরা নয় কংগ্রেসের তরফেও দুই পুরসভা এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে নির্বাচন দফতরে নালিশ জানানো হয়েছে। পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মীরা পাণ্ডে নিজে ভোটগ্রহণের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলায় এসে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার- সহ পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভোটগ্রহণ-পর্ব নির্বিঘ্ন করতেই জেলা প্রশাসন দুই পুরসভার প্রতিটি বুথকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করে নিরাপত্তার আয়োজন করেছে। জেলা-পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটগ্রহণের দিন দুই পুরসভার প্রতিটি থানা এলাকার দায়িত্বে থাকছেন একজন ডিএসপি। র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স, রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ছাড়াও থাকবে মহিলা পুলিশ বাহিনী। লাঠি, কাঁদানে গ্যাসও মজুত থাকছে। ইতিমধ্যে দুই পুর-এলাকায় পুলিশি টহলদারি শুরুও হয়েছে। জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া পুরসভার ভোটগ্রহণের জন্য ১৪৮টি বুথ হচ্ছে ৯৫টি স্কুলে। পাঁশকুড়া পুরসভায় ৪৩টি বুথ হচ্ছে ২২টি স্কুলে। প্রতিটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসার-সহ ৫ জন করে ভোটকর্মী থাকবেন। আগামী রবিবার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে ভোটযন্ত্রের মাধ্যমে। জেলা-প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ-পর্ব ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। শনিবার থেকে ভোটকর্মীরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মলয় হালদার জানান, “দুই পুরসভাতেই ৪/৫টি বুথ নিয়ে একটি সেক্টর-অফিস ও ৩/৪টি সেক্টর নিয়ে হাই-রেডিও ফ্লাইং-স্কোয়াড অফিস খোলা হচ্ছে। প্রতিটি স্কোয়াড অফিসের দায়িত্বে একজন করে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।” তিনি আরও জানান, পুর-নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসাবে সরকারি বিভিন্ন দফতর ও পঞ্চায়েত-কর্মীদের নেওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষকদের নেওয়া হয়নি। |
|
|
|
|
|