দূষণ বিধি না মেনে ইসিএলের তিনটি খোলামুখ খনি চলছে চলছে বলে অভিযোগ তুলে অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেন আসানসোলের সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি এবং সিবিআইয়ের তদন্তও দাবি করেছেন তিনি।
বংশবাবুর অভিযোগ, রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনির ক্ষেত্রে দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অনুমতি মেলেনি। গ্রামবাসীরা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে বারবার প্রতিকারের আবেদন জানালেও কাজ হয়নি। অবৈধ কয়লার কারবার বন্ধ করার নামে যত্রতত্র খোলামুখ খনি খোলার পরিকল্পনা করছে ইসিএল। জমির দালালদের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণের কাজ করতে চাইছে তারা। এতে ‘আউটসোর্সিং’ এলাকায় কয়লা চুরি বন্ধ হচ্ছে না। আউটসোর্সিং করে চালানো নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনিতে ব্যাপক লুঠ চলছে। চোরাচালান চক্রে সিআইএসএফ, ঠিকাদার, পুলিশের একাংশ, এমনকী ইসিএলের নিরাপত্তা বিভাগের একাংশও যুক্ত।
সাংসদের আরও অভিযোগ, জামুড়িয়ার সাউথ কেন্দা প্যাচে সমাজবিরোধীরা পুলিশ ও খনি কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই লুঠতরাজ চলছে। ওই প্যাচে কয়লা খননের জন্য বিস্ফোরণের জেরে ৪০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতিকার চাইতে গেলে খনি চত্বরেই কালো ফেট্টি পরা সমাজবিরোধীরা বাড়ি ছেড়ে পালাতে বলছে। বংশবাবু বলেন, “পাণ্ডবেশ্বরের শোনপুর বাজারি প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি। এই প্রকল্পের সম্প্রসারিত কাজ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এখানে ঠিকাদারের স্বার্থরক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ সমাজবিরোধীদের নিয়োগ করেছেন। এই সমাজবিরোধীদের নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সম্প্রতি দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।” তাঁর অভিযোগ, এই খনিগুলির ক্ষেত্রে দূষণবিধি মেনে জনশুনানিও হয়নি। অথচ অতিরিক্ত জেলাশাসক কী করে কাজের অনুমতি দিয়েছেন, তা নিয়েও তিনি তদন্ত দাবি করেছেন।
ইসিএল (সদর) কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমতি নেওয়ার জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের কাছে ‘ক্লাস্টার কনসেপ্ট’ও জমা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য হল, যাতে অবৈধ কয়লার কারবারে কেন্দ্র সরকারের রয়্যালটি এবং রাজ্য সরকারের সেস আদায় হয়। তার জন্যই ছোট ছোট খোলামুখ খনি খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়লা চুরিতে সংস্থারই নিরাপত্তা বিভাগের লোকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ তাঁরা উড়িয়ে দিয়েছেন। |