ধসের জেরে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিকিমের ছাঙ্গু গিয়ে আটকে পড়লেন দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক। বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ গ্যাংটক শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে, ছাঙ্গুগামী জওহরলাল নেহরু মার্গে ওই ধস নামে। ওই এলাকায় সিকিমের কেয়াংস্লো ন্যাশন্যাল পার্ক রয়েছে। টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে উদ্বারকাজও ব্যাহত হয়। পর্যটকদের রাতে এলাকার গ্রাম এবং সেনা ছাউনিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এবং সেনা জওয়ানেরা রাস্তা পরিষ্কারের কাজে নামলেও আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম। ‘ট্র্যাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব সিকিম’-এর (ট্যাস) সভাপতি লুকেন্দ্র রসোইলি বলেন, “বড় ধসটি দুপুরে নামলেও সন্ধ্যা অবধি পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ছে। ওই রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছি। পর্যটকেরা অবশ্য সুরক্ষিত আছেন।” সিকিম প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই এলাকায় চারশোরও বেশি গাড়ি আটকে রয়েছে। ‘ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, “ছাঙ্গু লেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক যাচ্ছেন। সকাল থেকেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ছিল। আমরা সিকিম প্রশাসন ও পর্যটন সংক্রান্ত সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”
শুধু জওহরলাল নেহরু মার্গে নয়, বুধবার রাতে ধস নামে সিকিমের সিংথাম ও রানিপুলের মাঝে মাঝিটার এলাকাতেও। এতে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ৩১-এ জাতীয় সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। সিকিমের সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ধসের দুই পাশে বিশাল গাড়ির লাইন পড়ে যায়। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের তরফে রাতেই কাজ শুরু করা হয়েছে। |