টুকরো খবর
জঙ্গি লড়াইয়ে নিরীহের মৃত্যু, রাস্তায় আমজনতা
নাগা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন জুনেবটোর বাসিন্দারা। নাগাল্যান্ডের জুনেবটো এলাকায় জঙ্গি অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রতিবাদ মিছিল বার করেন। গত কাল বিকেলে সাউথ পয়েন্ট এলাকায় এনএসসিএন খাপলাং ও এনএসসিএন খুলে-কিতোভি বাহিনীর মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে। তখনই একটি গুলি ছিটকে গিয়ে আচিকুচি গ্রামের বাসিন্দা, টোকি নামে এক যুবকের গায়ে লাগে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গুলির আঘাতে কুনোতো নামে স্নাতক স্তরের এক ছাত্র ও ঘোনিতো নামে এক ব্যক্তিও জখম হন। আজ টোকির দেহ নিয়েই মিছিল বের হয় রাস্তায়। জনতা দাবি তোলে, আবাসিক এলাকার সীমানা থেকে অবিলম্বে জঙ্গিদের সরাতে হবে। জঙ্গিদের দাদাগিরি, তোলাবাজি, অস্ত্র নিয়ে ঘোরাও চলবে না। অন্যথায়, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিক ও গ্রামবাসীরা হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হবেন। জনতার অভিযোগ, জঙ্গিরা জনতার আবেদন শোনে না। সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির নিয়ম মানে না। এ দিকে, সংঘর্ষবিরতি চুক্তি থাকায় নিরাপত্তাবাহিনীও জঙ্গিদমনে নামতে পারছে না। এই পরিস্থিতির বদল দাবি করেন জুনেবটোবাসী। আজ তাঁরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীকেই তোলা বা চাঁদা দেওয়া হবে না। জঙ্গিরা যাতে নির্দিষ্ট সরকার স্বীকৃত শিবির ছেড়ে বের না হয় তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

ওড়িশার গোপালপুরে ধৃত মণিপুরের পিএলএ নেতা
স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়াই তাঁর ‘কাল’ হল। গত পাঁচ বছর ধরে মণিপুর, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় জুড়ে মাওবাদী-পিএলএ আঁতাতকে মজবুত করার অন্যতম মাথা, পিএলএ জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতা আসেম ইবোতোম্বি সিংহ ওরফে আনগৌ পুলিশ, গোয়েন্দা ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। মাও বাহিনীর প্রশিক্ষণ হোক বা অস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত বরাত---সবই পুলিশের নাকের ডগায় বসে সেরে ফেলে নিরাপদে মনিপুরে ফিরে এসেছিলেন ইবোতোম্বি। কিন্তু গত ২৮ মে ওড়িশার ব্রহ্মপুর জেলার গোপালপুরে এক মহিলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত এনআইএ-র জালে আটকা পড়লেন এই দুঁদে জঙ্গি নেতা। স্থানীয় পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, সমুদ্রতীরবর্তী গোপালপুরে, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অফিসে কর্মরত ওই মহিলাই ইবোতোম্বির স্ত্রী। আজ ইবোতোম্বিকে গুয়াহাটি নিয়ে আসা হয়। ইতিমধ্যেই এনআইএ মাও-পিএলএ যোগসাজশ নিয়ে তাদের চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানে যে পিএলএ নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হল: এন দিলীপ সিংহ ওরফে ওয়াংবা, সেনজাম ধীরেণ সিংহ ওরফে রঘু ও আর্নল্ড সিংহ ওরফে বেকন। গত বছর দিল্লিতে দিলীপ সিংহ ধরা পড়ার পরে পিএলএ-র বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হন ইবোতোম্বি। মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার প্রধান দায়িত্ব ছিল তাঁর। এনআইএ সূত্রে খবর, ইবোতোম্বির কাছ থেকে একাধিক সিম কার্ড, পেন ড্রাইভ, ল্যাপটপ মিলেছে। সেগুলি ঘেঁটে তদন্তকারীরা পিএলএ-চিন-মাওবাদী যোগাযোগের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছেন।

ভূমি না কেঁপেও ত্রস্ত গুয়াহাটি
একটি এসএমএস। ‘উচ্চ-সতর্কতা’!!! গুয়াহাটিতে ভূমিকম্প আসছে। ৩০ মে, বিকেল ৪টে থেকে ৬টার মধ্যে। রিখটার স্কেল ৯।’ মোবাইল থেকে মোবাইলে, গত কাল থেকেই শহর জুড়ে ছড়ায় এমন ‘সতর্কবার্তা’। গত এক মাসে বার তিনেক কেঁপে ওঠা শহরবাসী স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। যদিও সরকারি তরফে প্রচার করা হয়, ‘ভূমিকম্পের ভবিষ্যৎবাণী করা যায় না। উড়ো খবরে কান দেবেন না।’ টিভি চ্যানেলে, বারবার বলা হয়, ‘ভয় পাবেন না।’ কিন্তু, বেলা আড়াইটে নাগাদ পশ্চিম সিকিমে ভূমিকম্পের খবর টিভিতে পরিবেশিত হতেই অনেকেই অফিস, বাড়ি, দোকান ছেড়ে বেরিয়ে আসেন খোলা রাস্তায়, মাঠে। ফাঁকা হতে থাকে বহুতলগুলি। অফিস থেকে বাড়িতে, বাড়ি থেকে অফিসে, নাগাড়ে চলে ফোনাফুনি।

বরাক সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ প্রয়াত
বরাক উপত্যকার সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ অনন্ত দেব কাল রাতে প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। অনন্ত দেব ১৯৪৭ সালে পূর্ববঙ্গের সিলেট জেলায় কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল বন্দিদের উপরে নির্বিচার গুলি চালানায় তিনিও গুরুতর ভাবে জখম হন। প্রায় ৩ বছর তিনি বিনা বিচারে বন্দি ছিলেন। ১৯৫৫ সালে তিনি পাকাপাকি ভাবে শিলচরে চলে আসেন। যোগ দেন ভারতীয় গণনাট্য সংঘে। ১৯৮০ সালে গড়ে তোলেন ‘দিশারি’ সাংস্কৃতিক সংগঠন। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য।

দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হতে পারে জগনকে
হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় ওয়াই এস আর কংগ্রেসের প্রধান জগন্মোহন রেড্ডিকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় এনফোর্সমেন্ট দফতর। গত রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আদালত জগনকে ১১ জুন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু জানা গিয়েছে, তদন্তের সুবিধার্থে জগন্মোহনকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চেয়ে সিবিআই আদালতে আবেদন জানাতে চলেছেন এনফোর্সমেন্ট দফতরের গোয়েন্দারা। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলার পাশাপাশি জগন্মোহনের বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের অভিযোগে এবং ফেমা আইনেও মামলা দায়ের করা হতে পারে। একই সঙ্গে ব্রিটেন, মরিশাস, সাইপ্রাস-সহ ছ’টি দেশে থাকা জগন্মোহনের কোম্পানিগুলির খুঁটিনাটি জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সিবিআই। এরই মধ্যে, অন্ধ্রপ্রদেশের শুল্কমন্ত্রী মোপিদেবী বেঙ্কট রামন রাওকে ৭ জুন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল সিবিআই আদালত। জগনের হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

ডিমের দাম চেয়ে দোকানি খুন
খরিদ্দার ডিম খাওয়ার পর দোকানদার ডিমের দাম চেয়েছিলেন তাঁর কাছে। সেটাই ‘অপরাধ’ হয়ে দাঁড়াল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রামজি প্রসাদের। ডিম খাওয়া খরিদ্দার এক জওয়ান ও তার সঙ্গীর প্রহারে প্রাণ গেল রামজির। কাল রাতে পটনার রামকৃষ্ণনগর থানা এলাকার নতুন বাইপাসে এই কাণ্ড ঘটে। প্রহারকারী দু’জনকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, কাল রাতে জওয়ান কমলেশ প্রসাদ ও তার সঙ্গী সুধীর কুমার দোকনদার রামজি প্রসাদের কাছে ডিম খায়। খাওয়ার পরে তারা দাম না মিটিয়েই চলে যাচ্ছিল। দোকানদার রামজি ওই দু’জনকে দাম মেটানোতে বললে উল্টে রামজিকে নির্দায় ভাবে পেটায়। মারের চোটে রামজির মৃত্যু হয়।

বিহারে চরস উদ্ধার
ধানের খেত থেকে ১৬০ কিলোগ্রাম চরস উদ্ধার করল পুলিশ। বেতিয়া জেলার মৈনাতন্দ থানার সিংহাসনি গ্রাম থেকে আজ দুপুর ১২টা নগদ এই চরস উদ্ধার হয়। গ্রামটি ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকায়। জেলার পুলিশ সুপার সুনীল নায়েক জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে থানা থেকে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। থানার ওসি বৈদ্যনাথ চৌধুরী বলেন, “নেপাল থেকে ওই চরস আমদানি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর বাজার মূল্য আনুমানিক দেড় কোটি টাকা।”

প্রাক্তন নেতা খুনে বাম ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন
কেরলের প্রাক্তন সিপিএম নেতা টি পি চন্দ্রশেখরনের খুনের ঘটনায় এ বার বৃহত্তম বাম ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিল। পাঁচটি কমিউনিস্ট দল সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছে, চন্দ্রশেখরনের খুনের পিছনে সিপিএমের একাংশের হাত রয়েছে। অন্য মতাবলম্বীদের খুন করা হলে বৃহত্তর বাম ঐক্যের যে সম্ভাবনা দেশ জুড়ে গড়ে উঠছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওই পাঁচ দল হলসিপিআই (এমএল) লিবারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সিস্ট (পঞ্জাব), লেফট কো-অর্ডিনেশন কমিটি (কেরল), কমিউনিস্ট পার্টি অফ রেভোলিউশনারি মার্ক্সিস্টস এবং লাল নিশান পার্টি (লেনিনবাদী)। তাদের মধ্যে লেফট কো-অর্ডিনেশন কমিটি (কেরল)-এর নেতা ছিলেন চন্দ্রশেখরন। তিনি ২০০৮ সালে সিপিএম ছেড়ে প্রথমে রেভোলিউশনারি মার্ক্সিস্ট পার্টি ও পরে লেফট কো-অর্ডিনেশন কমিটি (কেরল) গঠন করেন। ২০১০ সালের অগস্টে দিল্লিতে একটি কনভেনশনের মধ্য দিয়ে লেফট কো-অর্ডিনেশন কমিটি (কেরল)-সহ ওই পাঁচটি দল সর্বভারতীয় বাম সমন্বয় গড়ে তোলে। অভিযোগ, চন্দ্রশেখরনের দলের উপর সিপিএম কিছু দিন ধরে আক্রমণ চালিয়েছে। সেই কারণেই তারা মনে করছে, চন্দ্রশেখরনকে খুন করেছে সিপিএমেরই একাংশ। চিঠিতে তারা লিখেছেবাম দলগুলির মধ্যে মতাদর্শগত পার্থক্য আছে। কিন্তু তা খুন বা আক্রমণে পর্যবসিত হওয়া উচিত নয়।

ধর্মঘটী চালকরা প্রশিক্ষণ নেবেন না: কোর্ট
ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে বিমানচালকরা উন্নত প্রযুক্তির বোয়িং ৭৭৭-এর প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তবে বর্তমানে যে সব চালক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরা তাঁদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। গত ১১ মে এই প্রশিক্ষণ নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে আবেদন করা হয়েছিল। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি এ কে সিকরি এবং বিচারপতি রাজীব সাহাই এন্ডলের বেঞ্চ। এ দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানচালকদের ধর্মঘট এ নিয়ে ২৩ দিনে পড়ল। সংস্থার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১০ কোটি টাকারও বেশি। অন্যদিকে কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করায় ইতিমধ্যেই ১০১ জন চালককে বরখাস্ত করেছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সীমান্তে জিতেন্দ্র
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। নিছক ঘুরে দেখা নয়, শিবিরে গিয়ে জওয়ানদের কাছ থেকে সরাসরি জানতে চাইলেন তাঁদের অসুবিধার কথা। ২৭ মে তিনি মেঘালয়, পরদিন নাগাল্যান্ড সফর করেন। কাল ছিলেন মিজোরামে। আজ ঘুরে দেখেন বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জের আন্তর্জাতিক সীমান্ত। ভাঙ্গা, সুতারকান্দি ও স্টিমারঘাটতিনটি বিএসএফ চৌকিতে ঢুকে জেনে নেন জওয়ানদের সমস্যা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় তাঁদের চিন্তাভাবনাও। বিএসএফ জওয়ানরা নানা বিরুদ্ধ পরিবেশের মধ্যে কাজ করলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে নিজেদের সুখসুবিধার কথা তেমন কিছু বলতে চাননি। তবে জানান, আরও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পেলে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। জিতেন্দ্র কাল মিজোরামের ডেমাগিরি বিওপি-তেও যান। সেখানেও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন। রাত কাটান আইজলে। আজ তিনি ভাইরেংটিতে থাকা সেনাবাহিনীর কাউন্টার ইনসারজেন্সি অ্যান্ড জাঙ্গল ওয়ারফেয়ার স্কুল পরিদর্শন করেন। করিমগঞ্জ সীমান্ত সফর সেরে জিতেন্দ্র সিংহ বিএসএফের ভারপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল ডি কে ত্রিপাঠী-সহ উচ্চপদস্থ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর এই আচমকা উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফর এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পরিদর্শনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

জঙ্গিদের গুলিতে আহত ৭ জওয়ান
শ্রীনগরের রায়নাওয়াড়ি এলাকায় জঙ্গিদের গুলিতে জখম হলেন ৭ সিআরপি জওয়ান। এঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশি সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই অঞ্চল দিয়ে সিআরপি জওয়ানের গাড়ি পেরোনোর সময় একটি মোটরসাইকেলে জঙ্গিরা এসে গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফে এই হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। দলের মুখপাত্র তনবির সাদিক বলেছেন, “জঙ্গিদের এই আক্রমণ বর্বরোচিত। এই সময় পর্যটকেরা এখানে আসেন। এই ধরনের ঘটনা একেবারেই অভিপ্রেত নয়।”

সচিনের শপথ ৪ জুন
রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে সচিন তেন্ডুলকর শপথ নেবেন ৪ জুন। সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাজীব শুক্ল আজ এ কথা জানিয়েছেন। এপ্রিল মাসে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে সচিনকে মনোনীত করা হয়েছিল। সচিনের সঙ্গেই মনোনীত হয়েছিলেন অভিনেত্রী রেখা ও শিল্পপতি অনু আগা। চলতি মাসের গোড়ার দিকেই তাঁরা শপথ নিলেও আইপিএল চলার জন্য উপস্থিত থাকতে পারেননি সচিন।

জঙ্গি-পুলিশ সংঘর্ষে হত ২
জঙ্গি-পুলিশ গুলির লড়াইয়ে মেঘালয়ে এক জঙ্গি ও এক পুলিশ কম্যান্ডোর মৃত্যু হল। দক্ষিণ পার্ব্যত্য গারো জেলার কোসোয়াপাড়া এলাকার এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানায়, জিএনএলএ জঙ্গিদের একটি দল এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে খবর পেয়ে আজ ভোরে কম্যান্ডোরা কোসোয়াপাড়ায় অভিযান চালায়। পুলিশ বাহিনীকে আসতে দেখেই জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। দুই কম্যান্ডো গুলিবিদ্ধ হন। একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের দাবি, জঙ্গি সংগঠনের এক সদস্য মারা গিয়েছে। জখম হয়েছে দু’জন। জখম পুলিশ ও জঙ্গিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দিকে, আজ ভোরে অসমের শিবসাগর জেলায় পুলিশের সঙ্গে আলফা জঙ্গিদের গুলির লড়াই হয়। নামসাই এলাকার লালমাটিতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের গুলিতে রবীন মরাণ নামে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি, কামরূপের বকোতে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলিতে সিমল বড়ো নামে এক এনডিএফবি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে।

গুলিতে জখম মহিলা
জওয়ানের রাইফেল থেকে ছিটকে বের হওয়া গুলিতে জখম হলেন এক মহিলা। গত কাল ইম্ফলের ইয়েংখোইবা বাজার এলাকায় হেইজাম খোংসাই নামে ২ নম্বর রিজার্ভ বাহিনীর এক জওয়ান পাহারা দিচ্ছিলেন। তাঁর হাতে ছিল ইনস্যাস রাইফেল। আচমকাই রাইফেল থেকে তিন রাউন্ড গুলি ছিটকে বের হয়। সামনের কংক্রিটের দেওয়ালে লেগে একটি গুলি থকচম মিনা নামে এক মহিলার পায়ে ঢুকে যায়। তাঁকে সিজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ওই জওয়ান বরখাস্ত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার সময় খোসাই অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.