আরও পড়ল টাকা। আর, লগ্নিকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে তার পতনের রেশ আবারও ছায়া ফেলল শেয়ার বাজারে।
ডলারের তুলনায় টাকার দাম বুধবার পড়ল আরও ৫৭ পয়সা। ফলে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়াল ৫৬.২৪ টাকায়। এই নিয়ে গত দু’দিনে টাকা পড়ল ১০৬ পয়সা। চলতি মাসে এ পর্যন্ত ৬%। টাকা সব চেয়ে নীচে নামে গত ২৪ মে। সে দিন প্রতি ডলারের দাম পৌঁছে যায় ৫৬.৪০ টাকায়। আজ টাকার আরও নীচে নামা ঠেকাতে বাজারে হস্তক্ষেপ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তা না হলে টাকা তার ওই সর্বনিম্ন দরের চেয়েও নীচে নেমে যেত। পাশাপাশি, ১২৬ পয়েন্ট পড়ে দিনের শেষে সেনসেক্স বন্ধ হয় ১৬,৩১২.১৫ অঙ্কে। বিদেশিদের কাছে নিরাপদ লগ্নির মাধ্যম হয়ে ওঠা টাকার পতনের পিছনে এ দিন বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করেছে। যেমন:
• ইউরোপীয় সঙ্কট নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তা। এই নিয়ে এক মাসে তিন বার স্পেনের রেটিং কমিয়ে দিল মূল্যায়ন সংস্থা। ফলে স্পেনে মন্দা ঘোরালো চলেছে, সে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এই ইঙ্গিত দেওয়ার পরেই পড়তে থাকে টাকা।
• ডলারে ইউরোর দাম নেমে যায় ২০১০-এর জুলাইয়ের পর থেকে সবচেয়ে নীচে।
• মাসের শেষে ভারতে আমদানিকারীদের তরফে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়া।
টাকার পতনের প্রভার এ দিন সেনসেক্সকে কিছুটা টেনে নামালেও এর জন্য অন্য কিছু কারণকেও দায়ী করেছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে অন্যতম চতুর্থ ত্রৈমাসিকে টাটা মোটরসের খারাপ ফলাফল। মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই ফলাফল হতাশ করেছে লগ্নি- কারীদের। ফলে ওই সংস্থার শেয়ার দর পড়ে যায় প্রায় ১২ শতাংশ। এ ছাড়া বিশ্ব বাজারে মন্দা ভাবও বাজার পড়ার জন্য দায়ী। উপরন্তু আগামী কাল গত অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। বৃদ্ধির হার আশানুরূপ না হলে অর্থনীতির চাকা আরও ঢিমেতালে চলবে, এই আশঙ্কাও পতন ডেকে আনে বাজারে। |