অবশেষে আয়কর নিয়ে বিদেশি লগ্নিকারী ও সফটওয়্যার সংস্থাগুলির দুশ্চিন্তা কাটালেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বুধবার সাফ জানালেন, যে-সব সংস্থার আয়করের হিসাব ২০১২-র ১ এপ্রিল অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষ শুরুর আগেই মিটে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ফের মামলা শুরু করবে না আয়কর বিভাগ। তবে ভোডাফোন এই সুবিধা পাবে না। কারণ, তাদের বকেয়া কর আদায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, বাজেটে আনা আয়কর আইনের বিশেষ সংশোধনী প্রস্তাব অনুসারে ভারতে ব্যবসার যোগসূত্র থাকলে, ভারতীয়, অনাবাসী, বিদেশি সবাই উৎসে কর কাটিয়ে তা এ দেশে জমা দিতে বাধ্য হবেন। বিদেশের মাটিতে লেনদেন হলেও কর দিতে হবে। সংশোধনী কার্যকর ধরা হবে ১৯৬২-র ১ এপ্রিল থেকে। আজ এখানে প্রত্যক্ষ কর ভবন উদ্বোধনে প্রণববাবু বলেন, “সংশোধনীর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদে কথা দিয়েছিলাম, কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ নির্দেশ জারি করবে। তাতেই বলা থাকবে, ১ এপ্রিলের আগে যে সব হিসাব মিটেছে, সেগুলি নিয়ে নতুন করে খাতা খোলা হবে না। পর্ষদ সেই বিবৃতিই প্রকাশ করল।”
সংশোধনীটি নিয়ে চিন্তায় পড়েন বিদেশি লগ্নিকারীরা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল ভোডাফোন-হাচিসনের মতো সব লেনদেনকে করের আওতায় আনতেই ওই সংশোধনী। ২০০৭-এ হংকঙের মোবাইল সংযোগ সংস্থা হাচিসন-এসারে হাচিসনের ৬৭% শেয়ার প্রায় ১,১০০ কোটি ডলারে হাতে নেয় ব্রিটিশ ভোডাফোন। কিন্তু এ জন্য ভারতে কর জমা দেয়নি তারা। যুক্তি ছিল, চুক্তি হয়েছে বিদেশে।
এ দিকে, সফটওয়্যার সংস্থাগুলির উপর একাধিক পর্যায়ে ধার্য করা করের বোঝা কমাবে কেন্দ্র। এ ভাবে উৎসে কর কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপদেষ্টা গোষ্ঠী গড়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গোষ্ঠী ও ন্যাসকমের আর্জি মেনে ওই কর এড়ানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। এতে সুবিধা হবে সফটওয়্যার বিপণন সংস্থাগুলির।” বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে ন্যাসকম। অন্য দিকে, যে দেশে আয়করের হার কম, সেখানেই মুনাফা দেখানোর যে প্রবণতা (‘ট্রান্সফার প্রাইসিং’) বহুজাতিক সফটওয়্যার সংস্থাগুলির রয়েছে, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে ওই গোষ্ঠী। |