নোকিয়া-সিমেন্সকে অন্য প্রকল্প গড়ার আর্জি পার্থের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বৃহস্পতিবারই কলকাতায় নোকিয়া-সিমেন্স নেটওয়ার্ক (এনএসএন) কারখানার কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার শেষ দিন। যে দায় শেষ হলেই রাজ্যের প্রথম টেলিকম যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানাটির ঝাঁপ বন্ধ হবে। কিন্তু শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার এনএসএন কর্তাদের ওই জমিতেই অন্য প্রকল্প গড়ার আর্জি জানান। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সব রকম সাহায্য করবে। সল্টলেকে এনএসএন কারখানায় উৎপাদন প্রায় বন্ধ এক বছরের উপর। বিশ্ব জুড়েও মন্দার হাওয়া। তাই আন্তর্জাতিক স্তরে সংস্থা পুনর্গঠনের অঙ্গ হিসেবেই কলকাতায় এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি তাদের। বুধবার পরিস্থিতি জানাতে পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করেন ভারতে এনএসএন-এর উৎপাদন বিভাগের প্রধান সতেন্দ্র সিংহ ও কলকাতার কারখানার প্রধান অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন ওয়েবেল এমডি প্রবীর কুমার দাসও। বৈঠকে পার্থবাবু টেলি যন্ত্রাংশ না -হলেও, অন্য প্রকল্পে লগ্নির পরামর্শ দেন। এনএসএন কর্তারা জানান, রাজ্যের আশ্বাস পেয়ে তাঁরা খুশি। এই কারখানা বন্ধ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু দেশ জুড়ে টেলি সংস্থাগুলিকে যে কারিগরি সহায়তা দেয় এনএসএন, তা বহাল থাকবে রাজ্যেও।
|
৩ কারখানা ঢেলে সাজতে ৪৫ কোটি লগ্নি করবে বাটা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাটানগর-সহ তিনটি কারখানার আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণে তিন বছরে ৪৫ কোটি টাকা লগ্নি করবে বাটা ইন্ডিয়া। বাটানগরেকাজ শুরু হবে আগামী বছরের গোড়ায়। বুধবার বার্ষিক সভার পরে সংস্থার চেয়ারম্যান উদয় খন্না বলেন, পটনা, বাটানগর, বেঙ্গালুরু কারখানা আধুনিকী -করণে প্রতি বছর ১৫ কোটি টাকা করে খরচ করবেন তাঁরা। সংস্থার এমডি রাজীব গোপালকৃষ্ণন জানান, চলতি বছরে প্রথমে পটনার কারখানার কাজ শুরু হবে। তারপর বাটানগর এবং সব শেষে বেঙ্গালুরু। তাঁদের আশা, এর ফলে উৎপাদন ক্ষমতা ১০-২০% বাড়বে। বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাটা নতুন বিপণন কৌশলও নিচ্ছে। ২০১১-তে তাদের ব্যবসা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৪১ কোটি টাকা। নিট মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২২৬ কোটি টাকা। শেয়ার পিছু ছ’টাকা ডিভিডেন্ড দেবে সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গে এ বছরে আরও ২০-২৫টি নতুন বিপণন কেন্দ্র খুলবে তারা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরেও বিপণন কেন্দ্র খোলার উপর জোর দিচ্ছে সংস্থাটি। কারণ সংস্থার মতে, দেশের জুতো ব্যবসা ৭৫% আসে গ্রামীণ এলাকা থেকে। এবং তার বেশিরভাগটাই অসংগঠিত শিল্পের হাতে রয়েছে। |