একশো দিনের প্রকল্পে বকেয়া টাকার দাবিতে পঞ্চায়েতে তালা দিয়েছিলেন সুপারভাইজার এবং শ্রমিকেরা। ওই তালা ভেঙে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম স্বাভাবিক করলেন বোলপুরের বিডিও অমল সাহা। অমলবাবু বলেন, “বোলপুরের সিয়ানমুলুক পঞ্চায়েতের প্রকল্পের সুপারভাইজাররা এবং শ্রমিকেরা তালা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। মঙ্গলবার তালা ভাঙা হয়েছে।” তিনি জানান, সরকারি কাজে বাধা, এবং বেআইনি ভাবে তালা দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দু’মাস কেটে গেলেও ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা না পেয়ে গত শুক্রবার কর্মীদের আটকে রেখে পঞ্চায়েতে তালা দিয়েছিলেন তাঁরা। এমন কী বোলপুর-কীর্ণাহার রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করেছিলেন তাঁরা। বিডিও গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তখনকার মতো সমস্যা মিটে গেলেও সোমবার ফের সুপারভাইজার এবং শ্রমিকদের একাংশ পঞ্চায়েতে তালা দিয়ে দেন। ফলে কর্মীরা ঢুকতে না পারায় কাজকর্ম ব্যাহত হয়। অভিযোগ পেয়ে বিডিও গিয়ে তালা ভাঙেন। প্রকল্পের সুপারভাইজার এবং শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, “বহু আগে কাজ হওয়া সত্বেও প্রশাসন এখন মাপজোক করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তে আমরা বাধা দিয়েছি।” বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “পঞ্চায়েতের পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। ওই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম যাতে স্বাভাবিক হয়, বিডিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর আশ্বাস, “একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি-সহ গোটা ঘটনার প্রয়োজনীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |