পাথর বোঝাই ডাম্পারের সঙ্গে একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হলেন দুই চালক-সহ তিনজন। বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সদাইপুর থানা এলাকার চিনপাইয়ের কাছে, পানাগড়-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। আহতদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে বক্রেশ্বর সেতুর উপর দু’টি গাড়ি এমন ভাবে আটকে যায় যে, ঘটনাস্থলের দুই দিতে প্রায় ৫ কিমি রাস্তায় অন্য যানবাহন আটকে পড়ে। প্রথমে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা ঘণ্টা দেড়েক পরে লরিটিকে সরিয়ে কোনও রকমে একদিক ফাঁকা করে দিলেও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। ঘণ্টা ছয়েক পরে পাথর ভর্তি ডাম্পার সরানোয় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। |
সদাইপুরে দুর্ঘটনার পরে সেতুতে যানজট। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
দীর্ঘক্ষণ যানজটের জেরে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে দুবরাজপুরমুখী ডাম্পারের সঙ্গে সিউড়িগামী খালি লরিটির মুখোমুখি সংঘর্ষে কারও মৃত্যু না হলেও সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, পাথর বোঝাই ডাম্পারের গোলা ভেঙে সেতুর উপর ফেঁসে যায় এবং লরি চালকের দিকে থাকা অংশটি তুবড়ে গিয়ে ডাম্পারটির সামনের অংশে এমন ভাবে ঢুকে যায়। ফলে জখম চালককে বের করে আনতে বিস্তর বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত দু’টি গাড়িকেই আটক করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ছাত্র পরিষদের পুরুলিয়া জেলা সহ সভাপতি-সহ দু’জনের। বুধবার সন্ধ্যায় বাঘমুণ্ডি থানার রেলা গ্রামের অদূরে, বাঘমুণ্ডি-ঝালদা রাস্তার উপর একটি বাসের সঙ্গে মোটরবাইকের সংঘর্ষ হয়। ওই মোটরবাইকে থাকা ছাত্র পরিষদের জেলা সহ সভাপতি দুঃখহরণ গড়াই (২৬) ও তাঁর বন্ধু কালীপদ মুখোপাধ্যায়ের (২৬) ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ঝালদা থানার হেঁটজারগো গ্রামে তাঁদের বাড়ি। পুলিশ বাসটি আটক করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বাঘমুণ্ডি থেকে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। একটি ট্রাক্টরকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় উল্টোদিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাঁদের মোটরবাইকের। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, “বাঘমুণ্ডিতে ছাত্রপরিষদের সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য দুঃখহরণরা সেখানে গিয়েছিলেন।” |