দুবরাজপুরে তৃণমূল নেতা খুনে জড়িত অভিযোগে সিপিএমের এক জোনাল নেতা-সহ সোমবার রতেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই দিনে খয়রাশোলে আরও দুই তৃণমূল নেতা-কর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আরও চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার কাঁকরথানা এলাকা থেকে খয়রাশোল থানার পুলিশ বড়রা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধান কাঞ্চন অধিকারী, দুবরাজপুরে খুন হওয়া তৃণমূল নেতার দাদা নাসের আলি ওরফে কাজল, গাড়ির চালক শেখ বাবর ও শেখ মধুকে ধরে।
অর্থাৎ তিন নেতা-কর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ছ’জন গ্রেফতার হয়েছে। প্রত্যেকের বাড়ি কাঁকরতলা থানা এলাকায়। ধৃতদের সকলকে বুধবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক নিহত গোলাম সাব্বির কাদেরির দাদা নাসের আলি ওরফে কাজলকে বাদ দিয়ে বাকি পাঁচজনকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে এবং নাসের আলিকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে এক ঘণ্টারও কম ব্যবধানে খুন হন খয়রাশোলের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর তিন নেতা-কর্মী। দুবরাজপুর শহরে সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ গুলি করে মারা হয় তৃণমূল নেতা, কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রামের বাসিন্দা গোলাম সাব্বির কাদেরিকে। যিনি ব্লক তৃণমূল নেতা অশোক মুখোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর লোক বলেই পরিচিত। ওই ঘটনার মিনিট চল্লিশের মধ্যেই দুবরাজপুর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গুলিতে নিহত হন তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান ও দলীয় কর্মী সুখেন্দু সরকার। এই দু’জন খয়রাশোলের প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি অশোক ঘোষের অনুগামী ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তিন খুনের তদন্তে এসেছিলেন রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ এবং ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) বাসব তালুকদার। দুবরাজপুর ও খয়রাশোলের দু’টি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে দুবরাজপুর থানায় তাঁরা বৈঠক করেছিলেন জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা এবং দুবরাজপুর, খয়রাশোল ও কাঁকরতলা থানার ওসিদের সঙ্গে।
পুলিশ জানায়, তৃণমূল নেতা গোলাম সাব্বির কাদেরিকে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে জোনাল নেতা অঙ্গদ বাউড়ি ও শেখ সেলিম নামে এক যুবককে ধরা হয়েছিল। অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান ও দলীয় কর্মী সুখেন্দু সরকার খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মঙ্গলবার চার জনকে ধরা হয়।
|