|
|
|
|
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, গ্রেফতার ১০ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি গ্রামের ওই ঘটনায় পুলিশ দুই গোষ্ঠীর ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। সিপিএমের অভিযোগ, কয়লার এলাকা দখল নিয়েই এই সংঘর্ষ।
তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, অসিত মণ্ডল নামে এক দলীয় কর্মীর নেতৃত্বে সিপিএম থেকে দলে যোগ দেওয়া দুষ্কৃতীরা খোট্টাডিহি গ্রামের বাইরে অবৈধ কয়লার কাঁটা খুলেছিল। তৃণমূল নেত্রী অবৈধ কয়লার কারবার সমর্থন করেন না। সে কারণে দলেরই মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল দিন কয়েক আগে পাণ্ডবেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ কাঁটা ভেঙে দেয় এবং অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত করে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার অসিত মণ্ডলের লোকেরা জগবন্ধুর উপরে চড়াও হয়। গুলি ছোড়ে। জগবন্ধু পালিয়ে বাঁচে।
তৃণমূলের জামুড়িয়া ২ ব্লক সহ-সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা জানান, “আমরা পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছি, কোনও ভাবেই হাজার আক্রমণ হলেও কয়লা চলতে দেওয়া যাবে না।” অসিত মণ্ডল দলে যাঁর অনুগামী বলে পরিচিত, তৃণমূলের সেই পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, রবিবার এলাকায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল হয়েছিল। তাতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের কিছু কর্মীকে সিদ্ধার্থ রানার লোকেরা হুমকি দেয়। এতে দুই পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। তবে কেউ আহত হননি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নামে দশ জনকে গ্রেফতার করেছে। খোলামুখ খনি থেকে কাজ করে ফেরার পথে পঞ্চানন ঘোষ, শোনপুর বাজারি এলাকার গাড়ির চালক শেখ সাজেদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাজারি প্রকল্পের কর্মীরা পরিবহণ বন্ধ করে দেয়। অসিতবাবু বলেন, “আমি ইসিএলে চাকরি করি। কয়লা চুরিতে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” সিপিএমের অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক মনোজ দত্তের অভিযোগ, পুরো ঘটনাটিই অবৈধ কয়লা কারবারে নিয়ন্ত্রণের লড়াই। প্রায়ই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমা-গুলি চলায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত। বুধবার দু’জন তৃণমূল কর্মী বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন। তাঁদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মারামারিতে জড়িত থাকার কারণেই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|