ট্রাক-মিনিবাস সংঘর্ষে আসানসোলে মৃত চার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
ট্রাক ও মিনিবাসের সংঘর্ষে মৃত্যু হল চার জনের। বুধবার বিকেলে আসানসোলের সেনর্যালে মোড়ের কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম সোমনাথ কর্মকার (৪০), সনাতন মাজি (৪৫), জিৎ বাউড়ি (৭) ও ববিতা মণ্ডল (৩০)। সনাতনবাবু ওই বাসের কন্ডাক্টর। জখম ২৫ জন যাত্রীকে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ট্রাক ও বাসটি আটক করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পরে প্রায় ঘণ্টাখানেক ২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ আসানসোলগামী একটি মিনিবাস পাঁচগাছিয়া মোড় থেকে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে আসানসোল রাস্তায় ওঠার সময়ে সেনর্যালে মোড়ের কাছে কলকাতা থেকে ধানবাদগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। বাসটিকে ট্রাকটি বেশ কিছুটা টেনে নিয়ে যায়। বাসের মাঝের অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। |
|
দুর্ঘটনাস্থল। |
দুর্ঘটনার শব্দ শুনেই আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। জখম বাসযাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। আহতদের আসানসোল হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। পৌঁছন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কয়েক জন উচ্চপদস্থ আধিকারিকও। আসানসোলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক সুরজিৎ দত্তশর্মাও ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করে দেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা পাপ্পু উপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ব্যস্ততম এই মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল নেই। রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক পুলিশ নেই। সে কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। |
|
জখম যাত্রী। |
আসানসোল হাসপাতালে আহতদের ঠিক মতো চিকিৎসা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে এথোড়া, আঙারিয়া এলাকার লোকজন হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। সন্ধ্যায় কিছু চেয়ার-টেবিলও উল্টে দেওয়া হয়। এ দিন হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে সান্ত্বনা ধীবর বলেন, “হঠাৎ বিকট শব্দ করে বাসটা দুলে দুলে চলতে লাগল। দেখলাম, আমার সামনের আসনে বসে থাকা একটা বাচ্চা মেয়ে ছিটকে পড়ল। ওর মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত পড়তে লাগল। ভয়ে চোখ বুঝে ফেললাম।” ট্রাকচালক জন্মেঞ্জয় সিংহ গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তবে বাসের চালকের কোনও হদিস পায়নি পুলিশ।
|
—নিজস্ব চিত্র। |
|