তৃণমূলের উপর ‘হামলা’, ধৃত সিপিএমের ২০ |
তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বর্ধমানের কাঁকসার ঘটনা। সিপিএমের দাবি, তাদের কর্মীদেরই মারধর করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের গাঁধী মোড়ে পুর-ভোটের প্রচারসভা করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তৃণমূলের অভিযোগ, সভা থেকে ফিরে এগারো মাইলা এলাকার কিছু সিপিএম কর্মী তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে গালিগালাজ করেন। তৃণমূল কর্মীদের প্রতিবাদে তাঁরা পালান। কিন্তু অভিযোগ, বুধবার সকালে ওই সিপিএম কর্মীরা স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে ‘হামলা’ চালায়। জখম দুই তৃণমূল কর্মী কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি। তৃণমূলের দাবি, সূর্যকান্তের ‘উস্কানি’তেই সিপিএমের এই হামলা। কাঁকসার যুব তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “সিপিএম সমর্থন হারিয়ে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিচ্ছে।” সিপিএমের পাল্টা দাবি, রাতে তাদের কর্মীরা সভা থেকে ফেরার সময়ে তৃণমূলের লোকেরাই আক্রমণ করেন। তাতে তাঁদের এক কর্মী জখম হন। এসপির কাছে তৃণমূলের ‘হামলা’র ব্যাপারে অভিযোগও করা হয়। পরে দলীয় কর্মীরা যখন মাঠে বসেছিলেন, আচমকা পুলিশ তাঁদের ধরে। ধৃতদের মধ্যে স্থানীয় বনকাটি পঞ্চায়েতের সিপিএম উপ-প্রধান অজিত ঘোষ আছেন। দলের কাঁকসা জোনাল কমিটির সম্পাদক অলোক ভট্টাচার্যের দাবি, “আমাদের কর্মীরাই আক্রান্ত হলেন। অথচ, তৃণমূল ও পুলিশ আমাদের লোকজনকেই ফাঁসাল।” বর্ধমানের এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, ধৃতদের কাছ থেকে পাইপগান ও কিছু তীর-ধনুক উদ্ধার হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
কংগ্রেস ও তৃণমূলে মারপিট দুর্গাপুরে |
কংগ্রেস ও তৃণমূলের গোলমাল বাধল দুর্গাপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাচিতি শালবাগান এলাকায়। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। দু’পক্ষই একে অপরকে লক্ষ করে ইট ছুড়তে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ করেও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে রাত ১টা নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কংগ্রেসের অভিযোগ, মঙ্গলবার এলাকায় পোস্টার লাগাতে গেলে তাদের বাধা দেয় তৃণমূল। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। এর পরে তৃণমূল কর্মীরা ইট ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা হিসাবে তারাও ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক পরে বিশালপুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ দিকে ওই ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ কুণ্ডু বুধবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন, তিনি বাড়িতে থাকতেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। বাড়ির সামনে তৃণমূলের বাইক-বাহিনী দাঁড়িয়ে থাকে। তাই তিনি এলাকা ছেড়ে অন্যত্র থাকছেন। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী চন্দন সাহার পাল্টা অভিযোগ, “আমাদের দখলে থাকা এলাকায় জোর করে পোস্টার লাগাতে এসেছিল কংগ্রেস। আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা তার প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু কেউ ওদের লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়েনি। নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা এড়াতে ওরাই আমাদের ও পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়ে।”
|
দুর্ঘটনায় মৃত তিন কাঁকসায় |
গাড়ির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। মঙ্গলবার গভীর রাতে পানাগড়-মোড়গ্রাম রাজ্য সড়কে বেলডাঙার কাছে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম পঙ্কজ কুমার (৩৫), সত্যপ্রকাশ রায় (৩৬) এবং সুজয় সরকার (৪০)। জখম অবস্থায় আর এক আরোহী মনিকা শর্মা দুর্গাপুর হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন একটি গাড়ি করে তাঁরা বীরভূমের দিকে যাচ্ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ট্রাকটিকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মারা যান গাড়ির দুই আরোহী পঙ্কজ কুমার ও সত্যপ্রকাশ রায়। মারা যান গাড়ির চালক সুজয় সরকারও।
|
বধূ ‘নির্যাতন’, গ্রেফতার শ্বশুর |
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে এক মহিলার শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ ফিরোজ। আসানসোল রেলপাড় এলাকায় বাড়ি থেকেই তাকে ধরা হয়। সম্প্রতি আসানসোল মহিলা থানায় হেনা পারভিন নামে এক মহিলা তাঁর স্বামী মহম্মদ সাদ্দাম ও শ্বশুর মহম্মদ ফিরোজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগদায়ের করেন। সাদ্দাম পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে, আসানসোলের রায়ডাঙা এলাকা থেকে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম দীপঙ্কর গড়াই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার স্ত্রী কল্পনা গড়াই। ধৃতদের বুধবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠান।
|
জাল গুটখা কারবারের একটি চক্রের হদিস মিলেছে বলে দাবি করল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বার্নপুর স্টেশন রোড এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু চক্রের পান্ডারা পালিয়ে যায়। সম্প্রতি আসানসোল বাজার থেকে এই ব্যবসায় জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম সৌরভ বার্র্নোয়াল ও অমর বার্র্নোয়াল। বর্তমানে তারা পুলিশি হেফাজতে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই চক্রটির হদিস মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।
|