এই গরমে মিনিমাম
ই যে বঙ্গীয় ঠা ঠা পড়া রোদ্দুর ও আর্দ্রতা, যারা মানুষকে বাগে পেলেই আক্ষরিক অর্থে সেদ্ধ করে দেয়, তাকে দেখলে আপনি নিশ্চয়ই দরজা জানলা বন্ধ করে, এসি চালিয়ে লুকিয়ে পড়েন। আরে, এ ভাবে পালিয়ে গেলে কোনও মজা আছে? গরমকেও তার নিজের অস্ত্রেই ঘায়েল করুন।
তবে, গরমকে কাজে লাগিয়ে সাজ মানে, সানগ্লাস, টুপি এ সব কথা হচ্ছে না। ও সব তো বহু চেনা। আচ্ছা, সাফ সাফ বলছি। গরম ইজ ইকোয়াল টু? ডেনিমের বদলে লেগিংস। এবং শর্ট ড্রেস, ছোট ঝুলের জামা। মানে স্লিভলেস, হাঁটু ঝুলের স্কার্ট।
মানে ফ্রক, সামার ড্রেস, কেপ্রি, হট প্যান্টস। অর্থাৎ এত কাণ্ড করে ত্বকটা ঝকঝকে তকতকে করে রেখেছেন। এত দিনে সবাই সেটা দেখতে পাবে। ট্যাটু, পিয়ার্সিং সমেত।
আর শরীরের বেশ খানিকটা যখন খোলামেলা পাওয়া গেল, তখন ওখানে বাহারে গয়না পরান। ছোট পোশাক তো খুবই মেয়েলি একটা ব্যাপার, সাজতে বেশ সুবিধা হয়।
যেমন, নরম রঙের সুতির ছোট হাতা জামার সঙ্গে খুব নজর কাড়ে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ ব্যাঙ্গলস। হাতটা টোনড হলে এ রকম নানা রঙের, নানা আকৃতির ব্যাঙ্গলস এক সঙ্গে পরুন। ধাতুর তৈরি বালাগুলো বেশ চকচকে গ্ল্যামারাস। কিন্তু পর পর শুধুই একই ধরনের মেটালিক ব্যাঙ্গলস পরলে চোখের ক্লান্তি লাগে।
মাঝেমধ্যে কয়েকটা একটু অপ্রচলিত দেখতে বালা রাখুন। যেমন কাঠের কারুকাজ করা মোটা বালা, লুসাইট-এর চুড়ি (স্বচ্ছ ধাতু, রঙিন বা রংহীন দুটোই হয়) দিনের বেলা দুই একটা আর সন্ধেয় অনেকগুলো। ব্যাকেলাইট-এর কস্টিউম ব্যাঙ্গলস দুটোতেই হাত ভরে যায়। হাতের ওপরে আপার আর্ম ব্রেসলেট পরতে পারেন।
পোশাকের গলার অংশটা লো কাট বা ছড়ানো হলে, গলার নীচের ওই খালি অংশটা ভরাট করে ফ্যাশনেবল নেকলেস পরুন।
ধাতুর তৈরি অনেক নকশার স্পাইরাল নেকলেস (গলার কাছে পেঁচিয়ে থাকবে) পাওয়া যায়। সাহসী পোশাকের জন্য, কস্টিউম জুয়েলারিতেও প্রচুর ‘বোল্ড ডিজাইন’-পাবেন। শিফন ড্রেসের সঙ্গে প্রবাল বা নানা আকৃতির আনকাট পাথর বা রত্নপাথরের লম্বা নেকপিস খুব ভাল দেখায়। এই বোহেমিয়ান নেকপিসগুলো এক ছড়া ছাড়াও দুই তিন ছড়ার বা আরও বেশি জমকালো হয়। পোশাকের প্রিন্টের সঙ্গে কোনটা মানাবে, সেটা একটু বুঝে নিতে হবে। এই নেকলেসের সঙ্গে মিলিয়ে ওভারসাইজড একটা ব্যাগ নিন। তার মধ্যে ছাতা, চশমা, সানস্ক্রিন ইত্যাদি গরম কালের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ভরে রাখুন।
সানড্রেস পোশাকটির অবয়ব অনেকটা স্কার্ট টপের মতো। কিন্তু যেহেতু একটাই পোশাক, তাই বিপরীত রঙের, চওড়া বেল্ট পরলে খুব দর্শনীয় হয়ে ওঠে। চেহারা কোমল দেখায়। একেবারে উল্টোটাও করা যায়। ওই পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে খুব সরু একটা কোমরবন্ধনী পরুন। সরু বা মোটা যা-ই পরবেন স্থির করুন, পোশাকটাও স্কার্ট বা সানড্রেস যা-ই হোক, বেল্টটার দিকে আগে নজর যাবে। সূক্ষ্ম সাজ পছন্দ হলে পাকানো চামড়ার বেল্ট পরে নিন।
শর্টস, মিনি স্কার্ট, শিফট ড্রেস বা লিটল হোয়াইট ড্রেস যাবতীয় ছোট ঝুলের পোশাকের সঙ্গে এক বাক্যে মানিয়ে যায় স্ট্র্যাপবহুল গ্ল্যাডিয়েটর স্যান্ডাল। কিন্তু মুশকিল হল, সব পায়ে গ্ল্যাডিয়েটর মানায় না। তাই বোধ হয় ওই জুতোটা অনেকেই এড়িয়ে চলেন। সে ক্ষেত্রে পাতলা অথচ মজবুত স্ট্র্যাপ দেওয়া, সুবিধাজনক হিলের স্যান্ডাল পরুন। সৈকতপোশাক, যেমন শিফন ড্রেস বা হালকা ডিজাইনের স্কার্ট ইত্যাদির সঙ্গে ফ্লিপ ফ্লপ মানিয়ে যাবে। ফ্লিপ ফ্লপের সঙ্গেই টো রিং বা অ্যাঙ্কলেট বেশি মানায়। সাদা পোশাক পরলে পায়ের ফ্লিপ ফ্লপের ওপরে বিড্স-এর মাল্টিকালার অ্যাঙ্কলেট পরে নিন। এগুলো পায়ে পায়ে জড়িয়ে খানিকটা উঠে আসে, দেখতে ভীষণ ভাল।
আর একটা দুরন্ত সাজ বলি? ট্যানড চামড়ার সঙ্গে অদ্ভুত মানাবে। নখে ক্রেয়ন পেনসিলের মতো উজ্জ্বল রং ভরে নিন। যেমন কমলা, নীল, হলুদ এই সব।
আইপিএলটাও তো ফুরিয়ে এল। এ বার সন্ধেগুলোও ফাঁকা। চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে থাকতে আর ভাল লাগবে না। পুল পার্টি, বার-বি-কিউ ফিস্ট’রা হাতছানি দিয়ে বাইরে ডাকবে। তখন এই সাজ-ফর্মুলা মনে রাখবেন কিন্তু।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.