কংগ্রেসকে কার্যত ‘উপেক্ষা’ করে ধূপগুড়ি পুরভোটের প্রচারে গিয়ে শুধু সিপিএমকে আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ধূপগুড়িতে সভা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “এখানে১৬ টি আসনে আমরা একক ভাবে লড়ছি। পাঁচ বছরে আমরা কী কাজ করব তার জবাবদিহি শুধু তৃণমূল করবে। তাই আমরা এককভাবে লড়ছি।” পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযজ্ঞের দিকে তাকিয়ে একক ভাবে মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনবে বলে তিনি দাবি করেন। সুব্রতবাবুর কথায়,“মার্কসবাদীদের ক্ষমতা থেকে হটিয়ে তৃণমূলকে মানুষক ক্ষমতায় এনেছে। মানুষ মুক্ত বাংলা গড়েছে। তাই আমজনতা আর সিপিএম-এর ফাঁদে পা দিতে চাইছেন না।” তৃণমূল ক্ষমতায় বসার পর এ প্রথম রাজ্যে ৬ টি পুরসভায় নির্বচন হতে চলেছে। উত্তরবঙ্গে শুধু ধূপগুড়িতে পুরভোট। সে দিক থেকে ধূপগুড়ির ভোট তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন। সুব্রত বাবু বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভাকে আমরা মডেল হিসাবে তুলে ধরতে চাই।” এর পরেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি দাবি করেন, তৃণমূল ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। পুর সভার ১৬ টি আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে এবার জোট হয়নি তৃণমূলের কংগ্রেসের। তবে কংগ্রেস ও বিজেপির ভোট কাটাকাটিতে সিপিএম-এর সুবিধা পাবার আশঙ্কা করেন তিনি। এর আগে ধূপগুড়িতে সভা করে তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী কংগ্রেস ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। সুব্রত বাবু অবশ্য কংগ্রেস-বিজেপি কারও নামোল্লেখ করেননি। ওই সভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব অভিযোগ করেন, “ভোট কাটাকুটি নিশ্চিত করতে টাকা ছড়ানো হচ্ছে।” এদিনই ধূপগুড়িতে সভা করেছেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। তিনি জানিয়ে দেন, তাঁদের প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল। কংগ্রেস বা বিজেপি-কে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতমবাবু। শুক্রবার বিকালে ধূপগুড়ির বৈরাতিগুড়ি স্কুল মাঠে সিপিএম-এর সভায় গৌতম দেব সাংবাদিকদের বলেন, “তৃণমূল এখানে প্রধান প্রতিপক্ষ। বাকিদের তেমন আমরা আমল দিচ্ছি না। তবে সিপিএম ফের এখানে বোর্ড গঠন করবে সেটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।” কার্টুন কাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন সিপিএম নেতা গৌতম বাবু। পাশাপাশি, জিটিএ চুক্তি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘টাইম বোমা’ বসিয়েছেন বলে তিনি কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবি, “পাহাড় ছাড়া বাকি মৌজার দাবি খতিয়ে দেখার কোনও দরকার ছিল না। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেনের কমিটি ২৯৬ টি মৌজার মধ্যে ১০০ মৌজা দিলে আগুন জ্বলবে। এখানকার একটা লোক জিটিএ চান না। উত্তরবঙ্গ নানান কারণে উত্তপ্ত তার মধ্যে জিটিএ ঢোকানো হল। সবাই যদি আলাদা ভাবে চায় তা হলে সব ভাগ হয়ে যাবে। এ ভাবে শান্তির কাজ হয় না।” |