আসন্ন পুরভোটে তাদের প্রার্থীদের তৃণমূল নিয়মিত হুমকি ও ভয় দেখাচ্ছে বলে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বামফ্রন্ট। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের কাছে ফের একই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি
প্রদীপ ভট্টাচার্য।
অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি পুরভোটের দু’দিন আগে থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ও পাঁশকুড়ায় আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনেরও আবেদন জানালেন প্রদীপবাবু। মনোনয়ন পেশের সময় থেকেই হলদিয়া, পাঁশকুড়ায় তাদের প্রার্থীদের উপর তৃণমূলের হামলার অভিযোগ জানিয়ে মীরাদেবীর কাছে প্রদীপবাবুর আবেদন, “যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। কংগ্রেস প্রার্থীদের উপর যাতে হামলা না হয়, তাঁদের হুমকি না দেওয়া হয়, তার ব্যবস্থা করুন। ভোটের দু’দিন আগে থেকে এবং ভোটের দিন ওই দুই পুরসভায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক।”
তৃণমূলের হুমকিতে বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস প্রার্থীপদ প্রত্যাহারেও ‘বাধ্য’ হয়েছে বলে দিন কয়েক আগে কমিশনে অভিযোগ করেন প্রদীপবাবু। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে তাদের প্রার্থীদের জন্য পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও অবস্থা বদলায়নি। বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় কংগ্রেসের প্রার্থী ঝর্ণা গিরির স্বামী ও আত্মীয়-বন্ধুদের রাস্তায় টেনে এনে তৃণমূলের মারধর এবং এ দিন সকালে তৃণমূল পাঁশকুড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আমিনুল মল্লিককে মারধর করেছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ।
৩ জুন, পুরভোটের দিন যাতে কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা না হয় এবং ভোটারদের ভোটদানে বাধা না দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার আবেদনও জানান প্রদীপবাবু। মীরাদেবীকে লিখিত অভিযোগে প্রদীপবাবু বলেন ‘‘পুলিশ-প্রশাসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থীরা নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। আপনার কাছে বারবার আবেদন করেও নির্বিঘ্নে প্রচার করাও যাচ্ছে না। এই ভাবে চললে হলদিয়া-পাঁশকুড়ায় ভোট করাটা প্রহসনে পরিণত হবে।” |