রাজ্যের পরিবহণসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকার বিরুদ্ধে ‘বেআইনি’ নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করলেন ওই দফতরের বিশেষ সচিব তারাপদ মাজি। গত ২৩ মে সচিবের কাছেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে ‘ছুটি’তে চলে গিয়েছেন তিনি। চিঠির প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকেও। এই নিয়ে দফতরের কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হওয়ায় মন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে তারাপদবাবুকে মহাকরণে ডেকে পাঠান।
মহাকরণ সূত্রের খবর, অনেক রাত পর্যন্ত গোপালিকা ও তারাপদবাবুকে নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী। মদনবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তারাপদবাবু পদত্যাগ করেননি। তিনি ছুটিতে গিয়েছেন। দফতরের কাজ নিয়েই তিনি ওই দুই কর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন বলে দাবি পরিবহণমন্ত্রীর। এই ব্যাপারে গোপালিকাকে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি। মোবাইল ধরেননি তারাপদবাবুও।
মহাকরণ সূত্রের খবর, ২০১০ সালে বর্ধমানের জামালপুরে একটি কেন্দ্রীয় মডেল বাস টার্মিনাস তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল পরিবহণ দফতর। কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষের পরে তা থমকে ছিল। সম্প্রতি পরিবহণসচিব ওই প্রকল্প রূপায়ণে দ্বিতীয় দফায় অর্থ অনুমোদনের জন্য বিশেষ সচিবকে নির্দেশ দেন। কিন্তু বরাদ্দের হিসেবনিকেশ নিয়ে তারাপদবাবু আপত্তি তোলেন বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্প সংক্রান্ত খরচের খুঁটিনাটি জানাতে অনুরোধ করেন তিনি। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, সচিব তা না-করে আগের তথ্যের ভিত্তিতেই সরকারি আদেশ প্রকাশ করার নির্দেশ দেন তারাপদবাবুকে।
এতে অপমানিত বোধ করেন ওই প্রবীণ অফিসার। পদত্যাগপত্রে তারাপদবাবু লিখেছেন, “আমার মনে হয়েছে, সচিবের খরচ সংক্রান্ত নির্দেশ মানতে হলে বেআইনি কাজ করতে হত। সেই থেকে আমি মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। পরিত্রাণ পেতেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” |