|
|
|
|
|
|
|
নাটক সমালোচনা... |
|
অনবদ্য রাণুর ভানুদাদা |
শতরূপা চক্রবর্তী |
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘রাণু ও ভানু’। তারই অবলম্বনে তৈরি হয়েছে নৃত্যনাট্য ‘রাণুর ভানুদাদা’। সম্ভবত উপন্যাসটি এই প্রথম মঞ্চায়িত হল। সম্প্রতি জ্ঞান মঞ্চে এটি পরিবেশিত হল কসবা কনকাঙ্গীর প্রযোজনায়। পরিচালনায় অম্বালী প্রহরাজ। রাণু-রবীন্দ্রের চূড়ান্ত অসমবয়সী নাম-না-জানা সম্পর্কের বন্ধনকে ধ্রুপদী ও সরল সাহিত্যের ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে এই উপন্যাসে। কিন্তু এখানে ‘রাণুর ভানুদাদা’ এই ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা বলে না। বরং এক জন মানুষের সহজ, সরল, আবেগপ্রবণ উপস্থিতি কী ভাবে এক জন স্রষ্টার জীবনকে সৃজনশীল ভাবে স্পর্শ করে গেছে তাই বলে। |
|
ঠিক যেমন ভাবে রাণুর প্রাণ-চঞ্চল ব্যক্তিত্ব ‘রক্তকরবী’র মতো একটি কালজয়ী নাটকের সৃষ্টি করে, যেমন সৃষ্টি করে ‘শেষের কবিতা’র অমিত ও লাবণ্যের চরিত্র। অনুষ্ঠানের শুরুতেই একটা ভাললাগার পরিবেশ তৈরি হয় যে মুহূর্তে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চিঠিপত্রের অষ্টাদশ খণ্ড থেকে চারটি চিঠি পাঠ করেন।
বেশ বিস্ময় জাগে যে এই রকম একটি ঘটনা ভিত্তিক উপন্যাসকে নৃত্যনাট্যে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যেখানে আছে সংলাপ, নাচ এবং সিরিয়াস থিয়েট্রিক্যাল আঙ্গিকের কিছু কিছু শরীরী ভঙ্গিমার অনবদ্য প্রদর্শন। এই নতুনত্বের আঙ্গিককে সাজিয়ে তুলতে অম্বালীকে অনেকটাই সাহায্য করেছে মানব বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিত্রনাট্য। মজার কথা, পুরো নৃত্যনাট্যে কোথাও রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি ঘটেনি। মধুরিমা, জয়িতা, সুমিত্রা এবং অম্বালী এই চার জন মহিলা কুশীলব কখনও রাণুর ভূমিকায়, কখনও ভানুদাদার ভূমিকায় অভিনয় করে সূত্রধরের মতো পুরো গল্পটা বলে গেছেন। সাবলীলতার সঙ্গে কখনও সংলাপ বলে নাচ করেছেন, কখনও নাচ করেই সংলাপ বলেছেন এঁরা। জালিয়ানওয়ালাবাগের পুরো ঘটনাটিকে এক সম্পূর্ণ নতুন ভাবধারায় এবং নতুন আঙ্গিকে পেশ করেছেন অম্বালী, তাপস, আনন্দ, অভিজিৎ, রিঙ্কু, কৃষ্ণেন্দু, আহেলী, রিয়া। আবহসঙ্গীত মানানসই। নাটকের দৃশ্যানুযায়ী রবীন্দ্রগানের ভাবধারাকে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়েছেন রাতুল শঙ্কর। আলো জয় সেনের। মঞ্চসজ্জায় সৌমিক-পিয়ালী।
|
মনকে নাড়া দেয় |
|
তিন দিন ধরে মূকাভিনয় উৎসব হল যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমিতে। উদ্বোধন সঙ্গীত গাইলেন রূপাশীষ ও রাজাশীষ। উদ্বোধনে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মূকাভিনয় সনাতন শিল্পকে পুনরায় ফিরিয়ে আনছে”। এ দিন সংবর্ধিত হন রানি করনা। পরে পরিবেশিত হয় ‘সমাজসেবী বিবেকানন্দ’। ৪০ জন শিল্পী এতে অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় দিন মূকাভিনয়ের কর্মশালায় ছিলেন বরুণ পাত্র, যোগেশ দত্ত, অনুদীপা মুখোপাধ্যায়, অপু মাইতি। পরে বর্ধমান নির্বাক পরিবেশন করে ‘আদিম সভ্যতা’। পরবর্তী পরিবেশনায় ছিল শুভজিৎ সেনগুপ্তের ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’ ও অরিন্দম বর্মনের ‘কুলি’। সব শেষে ‘শহীদ ক্ষুদিরাম’। তৃতীয় দিনের কর্মশালায় ছিলেন তারক সেনগুপ্ত, দেব ভট্টাচার্য। পরে পরিবেশিত হয় ‘খোল দ্বার’। খনির দৃশ্য তাক লাগিয়ে দেয়। |
|
|
|
|
|