|
|
|
|
দীপার সঙ্গে তরজা শুভেন্দু-মুকুলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
সিপিএম নয়, হলদিয়ায় পুরভোটের প্রচারে এসে শরিক তৃণমূলকেই বিঁধলেন কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। আবার তাঁর এই হলদিয়া আসা নিয়েই পাল্টা কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ও রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার গিরিশমোড়ে সভা ছিল কংগ্রেসের। আর বালুঘাটা ও টাউনশিপে সভা করে তৃণমূল। রাজ্যে ও কেন্দ্রে জোট রেখেও পুরভোটে দু’দলের সম্পর্ক হয়েছে অহি-নকুলের। শুক্রবারের পর শিল্পশহর হলদিয়ায় দু’দলের আকচাআকচিও পৌঁছল অন্য মাত্রায়। |
|
দলীয় প্রার্থী ঝর্ণা গিরির সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সি। নিজস্ব চিত্র। |
বৃহস্পতিবারই হলদিয়ার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীকে হেনস্থা ও তাঁর স্বামী ও কংগ্রেস-কর্মীদের মারধরে অভিযুক্ত হয় তৃণমূল। সেই প্রার্থী ঝর্ণাদেবীর বাড়িতেই এ দিন বিকেলে প্রথম পৌঁছন দীপাদেবী। এই নিয়েই কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “ওখানে সিপিআইয়ের এক মহিলা কর্মীকে কংগ্রেসের টিকিট দেওয়া হয়েছে। মানুষ ওদের আসল খেলা মানে সিপিএম তথা বামফ্রন্টকে মদতের বিষয়টা ধরে ফেলেছেন।” একই প্রসঙ্গ টেনে মুকুল রায়ও বলেন, “এই মহিলাই (দীপাদেবী) কিছু দিন আগে সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শিলিগুড়ির পুরবোর্ড গড়েছিল।” দুই তৃণমূল নেতাই দলীয় প্রার্থীদের সমস্ত আসনে জেতানোর আহ্বান জানান।
অন্য দিকে, দীপাদেবীও চড়া সুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মমতা’ বানিয়েছিল জাতীয় কংগ্রেসই। রাজীব গাঁধী বোনের মতো স্নেহ করতেন। তিনি ভাবেনইনি, এই বোনটি এক দিন কংগ্রেস প্রার্থীদের মারবে।” দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে দীপাদেবীর মন্তব্য, “খুব দুঃখ লেগেছে রাষ্ট্রপতি পদে প্রণববাবুকে পর্যন্ত তিনি (মমতা) সমর্থন করবেন না বলে জানিয়েছেন। অথচ এই প্রণববাবুর কাছেই তিনি অভাবের সময়ে কান্নাকাটি করে টাকা নিয়ে এসেছেন।” মুখ্যমন্ত্রী যে-কোনও ঘটনাকে ‘সাজানো’ বলে থাকেন বলে অভিযোগ করে দীপার বিদ্রূপ, “কোনও দিন বোধহয় উনি নিজের নামও সাজানো বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন।” মূলত শরিক তৃণমূলকে আক্রমণ করেই কংগ্রেস প্রার্থীদের জেতানোর ডাক দেন দীপা। লক্ষ্মণ শেঠের খাসতালুকে সিপিএম নিয়ে ভাল-মন্দ, কোনও কথারই ধার-কাছ দিয়ে যাননি কংগ্রেস সাংসদ। |
|
|
|
|
|