|
|
|
|
|
|
|
মনোরঞ্জন ১... |
|
এ বার বলিউডে তনুশ্রী |
টালিগঞ্জে হাতে গোনা ছবিতেই অনেকের নজর কেড়েছিলেন। তার পরেই বলিউড থেকে অফার। লিখছেন ইন্দ্রনীল রায় |
এ মাসের শুরুতেই তিনি মুম্বইবাসী হয়ে গেছেন।
তিন মাসের জন্য ভারসোভায় একটা ফ্ল্যাটও ভাড়া নিয়েছেন।
টালিগঞ্জের স্টুডিও নয়। তিনি এখন মুম্বইয়ের কাছে রায়গড়ে শু্যটিং করতে ব্যস্ত। আর তাঁর সঙ্গে আছেন মহেশ মঞ্জরেকর, দিলীপ তাহিল-এর মতো অভিনেতারা। সঙ্গে আছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মরাঠি অভিনেতা উপেন্দ্র লিমায়ে। এবং অসম্ভব প্রতিভাবান সেই প্রকাশ রাজ, যিনি ‘সিংহম’-য়ে শ্রেষ্ঠ ভিলেন হিসেবে এ বছরের সব অ্যাওয়ার্ড পেয়ে গেছেন। হ্যাঁ, এত কথা হচ্ছে যাঁকে নিয়ে তিনি তনুশ্রী চক্রবর্তী। তাঁর প্রথম হিন্দি ছবির নাম ‘রাজ্জো’। পরিচালক সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী আইএএস অফিসার বিশ্বাস পাতিল। পরিচালক হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম ছবি।
এমনিতে টালিগঞ্জে তাঁর সিভি এমন কিছু লম্বা নয়। তাতেই মারকাটারি।
অভিনয় করেছেন হাতে গোনা কিছু বাংলা ছবিতে। তবু রীতিমতো ছাপ রেখে গেছে মৈনাক ভৌমিকের ‘বেডরুম’ আর কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘উড়োচিঠি’তে তাঁর ঝকঝকে অভিনয়।
এই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েই তিনি এ বার মুম্বই।
ছবির অনেকটা জুড়ে থাকছে নাচগানের দৃশ্য। গানের ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে কোরিওগ্রাফি করছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। অন্যান্য নাচ গানের দৃশ্যে কোরিওগ্রাফার হিসেবে থাকছেন গণেশ আচার্য আর সরোজ খান।
শু্যটিং শুরুর আগে পণ্ডিত বিরজু মহারাজের কাছে অনুশীলনের টিপস নিতে তনুশ্রী দিল্লিও গিয়েছিলেন।
কী ভাবে এই ছবির প্রস্তাব এল তনুশ্রীর কাছে? |
|
“হঠাৎ করেই প্রস্তাবটা আমার কাছে আসে। হিন্দি ছবিতে অভিনয় করার কোনও পরিকল্পনা সত্যিই এর আগে আমার ছিল না। কারণ কলকাতায় আমার কেরিয়ার-কাজকর্ম যে ভাবে চলছিল তাতে আমি বেশ খুশিই ছিলাম। তবে যে কোনও নায়িকার কাছেই এ ছবির চরিত্রটি একটা স্বপ্নের চরিত্রের মতো। যেহেতু নামভূমিকায় অভিনয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাই তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে যাই,” মুম্বই থেকে জানাচ্ছেন তনুশ্রী।
‘রাজ্জো’র চমকের অবশ্য এখানেই শেষ নয়। ছবির ক্যামেরা করছেন ‘পরিন্দা’, ‘১৯৪২: আ লাভ স্টোরি’র মতো ছবির সিনেমাটোগ্রাফার বিনোদ প্রধান। আর আবহসঙ্গীতের ভার নিয়েছেন ইলিয়ারাজার মতো বিখ্যাত সুরকার। সঙ্গীত পরিচালক ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ খ্যাত উত্তম সিংহ। পরিচালক বিশ্বাস পাতিল বলছেন, “এই চরিত্রটার জন্য মুম্বইয়ের অনেক নামীদামি অভিনেত্রীরই অডিশন করা হয়েছিল। কিন্তু রোলটার কথা শুনে তনুশ্রীর মধ্যে যে ডেডিকেশন আমি দেখি, সেটা আর কারও মধ্যে লক্ষ করিনি। এর আগে ‘বেডরুম’-য়ে ওর অভিনয় ক্ষমতা আমার নজর কেড়েছিল। ওর নির্বাচিত হওয়ার দু’টো কারণ। দারুণ মুখশ্রী আর ওই ডেডিকেশন।”
ছবির কাজ শেষ করার জন্য তাঁকে টানা তিন মাস শহরের বাইরে থাকতে হবে। বাংলা ছবির শ্যুটিং তনুশ্রী শুরু করবেন আবার অগস্ট মাস থেকে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরের ছবি ‘খাদ’এ কাজ করার অফার পেয়েও তনুশ্রী হিন্দি ছবির কাজ করার জন্য তা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। ‘‘হ্যাঁ কথাটা ঠিকই,” স্বীকার করছেন তনুশ্রী, “কৌশিকদার ছবিতে আমি কাজ করতে পারছি না। রাজদাও (চক্রবর্তী) খুব শিগগির ‘ইয়ো বেবি’ শুরু করতে চলেছে। ছবির গল্প লিখেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। হয়তো এই ছবিটা আমার পক্ষে করা সম্ভব হবে। তার কারণ ‘রাজ্জো’র শ্যুটিং অগস্টের আগে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।”
আর তনুশ্রীর ‘ভাল বন্ধু’ তাঁর মুম্বইয়ের খবরটা পেয়ে কী বললেন? “রুদ্র খুব খুশি। ইন ফ্যাক্ট আমার সব বন্ধুরাই খবরটা পেয়ে খুশি। তবে সবাইকে বলেও উঠতে পারিনি এখনও,” অল্প হেসে তনুশ্রীর উত্তর।
রুদ্রনীল ঘোষ অবশ্য মনে করছেন এটা প্রথম ধাপ। “তনুশ্রীর মধ্যে ভারতীয় লাবণ্যের সঙ্গে শহুরে স্মার্টনেসটাও সাঙ্ঘাতিক ভাবে উপস্থিত। কিন্তু এ সবের চেয়েও বড় কথা তনুশ্রী খুব ভাল অভিনেত্রী। কলকাতায় যদি ও টানা কাজ করে যায়, আমার তো মনে হয় ও দু’বছরের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রির টপ পজিশনে পৌঁছে যাবে। আর মুম্বই যাওয়ার কথা যদি বলেন, তা হলে বলব এর আগে বহু বাঙালি গিয়ে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তনুশ্রী সেই টুপিতে নতুন পালক,” বলছেন রুদ্রনীল। |
|
|
|
|
|