|
|
|
|
বনধ, অবরোধ, সংঘর্ষে অসমে জনজীবন বিপর্যস্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বনধ ও পথ অবরোধের জেরে অসমের নানা অংশে অশান্তি ছড়ালো। ব্যাহত হল স্বাভাবিক জনজীবন। আজ একই সঙ্গে রাজ্যের তফসিল জাতি ও উপজাতি ছাত্র সংগঠন ও সারা আসাম উপজাতি সংঘ, ২৪ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত টেট পরীক্ষায় বৈষম্য করা হয়েছে— এই অভিযোগে বনধ ডাকা হয়। বন্ধের জেরে উজানি ও নামনি অসমের বহু এলাকায় দোকানপাট খোলেনি। বন্ধ ছিল স্কুল-কলেজ, সরকারি দফতরও। গুয়াহাটির ইন্টার স্টেট বাস টার্মিনাস (আইএসবিটি) থেকে দূরপাল্লার বেশ কিছু বাসের যাত্রাও বাতিল করা হয়। এ দিন, শিবসাগরে তফশিল জাতি ও উপজাতি ছাত্র সংস্থা ও সারা অসম বেকার সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দীপক তাই সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত পেট্রল ছড়িয়ে পড়ে ও টায়ার পেঁচিয়ে গিয়ে দীপকবাবু নিজেই অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁকে প্রথমে একটি নার্সিংহোম, পরে অসম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ দিকে, পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবিতে বড়ো স্বশাসিত পরিষদের নানা অংশে বড়োল্যান্ড যৌথ মঞ্চর তরফে আজ পথ অবরোধ করা হয়। অবরোধ চলাকালীন ওরাং-এ অবরোধকারীদের পাথরের ঘায়ে দুই ব্যক্তি জখম হন। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বরমায় দু’টি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় অবরোধকারীরা।
গত কাল কাজিরাঙার কাছে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির সমর্থকরা ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। বিকেলে অবরোধ হঠাতে পুলিশ গুলি চালালে দুই অবরোধকারী জখম হয়। গুয়াহাটির গড়চুকেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ জন সমর্থক জখম হয়। সমর্থকদের ছোড়া পাথরে তিন মহিলা কনস্টেবলও আহত হয়েছে। বৃহৎ নদীবাঁধ প্রকল্প বন্ধের দাবিতে অনশন চালাচ্ছেন কেএমএসএস নেতা অখিল গগৈ। বুধবার রাতেই এএসপি (শহর) লংনিত টেরনের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গগৈকে অনশনস্থল থেকে জোর করে তুলে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অখিল অবশ্য হাসপাতালেও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ অখিল বাহিনী সেলেংঘাট স্টেশনে রেল অবরোধের চেষ্টা চালায়। পুলিশ অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেয়। |
|
|
|
|
|