|
|
|
|
চোরাই লোহার রড কিনে পুলিশের জালে দুই ব্যবসায়ী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
সস্তা দরে চোরাই রড কিনে ট্রাকে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুই ব্যবসায়ী। গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির সহকারী চালককেও। আর এক ব্যবসায়ী ও ট্রাকচালক এখনও পলাতক।
মামলার তদন্তকারী অফিসার অধরচন্দ্র নাথ জানিয়েছেন, ১০ মে গুয়াহাটি থেকে দশ লক্ষাধিক টাকার রড নিয়ে আইজলের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল আসাম দিল্লি ক্যারিয়ারওয়েজের একটি ট্রাক। সাত দিনেও সেটি আইজলে না পৌঁছনোয় শুরু হয় খোঁজখবর। কাছাড় জেলার গুমরায় আসাম-মেঘালয় চেকপোস্টে খোঁজ করে ক্যারিয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, রড বোঝাই গাড়িটি মেঘালয় পেরিয়ে অসমে ঢুকেছে। তাঁরা পরে কাটিগড়া থানার গুমরা পুলিশ চৌকিতে এ ব্যাপারে এজাহার দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে ১৯ মে ট্রাকটি গুমরা থেকেই উদ্ধার করে। পুলিশ জেনেছে, নিলামবাজারের নঈমউদ্দিন নামে ওই ট্রাকচালক সমস্ত রড পথে বিক্রি করে আর এক চালককে দিয়ে খালি গাড়িটি গুয়াহাটি পাঠিয়ে দিচ্ছিল। সহকারী চালক বিজয়শঙ্করকে জেরা করে জানা যায়, রডগুলি মেঘালয়ের নংপো ও অসমের আছিমগঞ্জে বিক্রি করা হয়েছে। সার্কেল ইন্সপেক্টর অতুলপ্রসাদ রায়ের নেতৃত্বে বুধবার পুলিশবাহিনী নংপো থেকে চুরি-যাওয়া রডের একাংশ উদ্ধার করে। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় দুই ক্রেতা অশোক সাহা ও অনিল কুমারকে। অশোকের হার্ডওয়্যারের দোকান, অনিল কুমারের হোটেল ব্যবসা। বাকি রড আজ ভোরে করিমগঞ্জ জেলার আছিমগঞ্জ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। নঈমের কাছ থেকে সেগুলি কিনেছিলেন হার্ডওয়্যার সামগ্রীর ব্যবসায়ী মদন দেবনাথ। পুলিশের উপস্থিতি আঁচ পেয়ে মদন পালিয়ে যান।
ক্যারিয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানান, গাড়িটির মালিক উত্তরপ্রদেশের। তিনি নিজেই গাড়ি চালাতেন। কিন্তু বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান বলে তিন মাসের জন্য নিলামবাজারের নঈমউদ্দিনকে চালাতে দেন। সে এর আগে বেশ ক’জায়গায় বহুমূল্যের সামগ্রী নিয়ে ঠিকঠাক পৌঁছে দিয়েছিল। অন্য দিকে ধৃত বিজয়শঙ্করের দাবি, সহকারী চালক হিসাবে সে চালক নঈমউদ্দিনের নির্দেশ পালন করেছে। রড চুরি বা লেনদেনে জড়িত নয় বলে তার দাবি। তদন্তকারী অফিসার অধরবাবু অবশ্য এখনই তার কথা পুরো বিশ্বাস করতে নারাজ। তিনি জানান, দোষ-নির্দোষ বিচার করবে আদালত। এখন তাঁদের লক্ষ্য নঈম ও মদনকে খুঁজে বের করা। তিনি আশাবাদী, দু’জনকেই শীঘ্র গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। |
|
|
|
|
|