দু’মাস কেটে গেলেও ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা না পেয়ে পঞ্চায়েতে কর্মীদের তালাবন্দি করে রাখলেন শ্রমিক ও সুপারভাইজাররা। শুধু তাই নয়, তাঁরা সিয়ানে বোলপুর-কীর্ণাহার রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করেন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে বোলপুরের সিয়ানমুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিকেলে বোলপুরের বিডিও অমল সাহা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিডিও বলেন, “১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, গত ২৫ মার্চের মধ্যে সিয়ানমুলুক পঞ্চায়েতের ১১টি সংসদে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাস্টাররোল জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ব্লক প্রশাসন। সেই নির্দেশ মতো সুপারভাইজাররা মাস্টাররোল জমাও দিয়ে দেন। সুপারভাইজার গোরাচাঁদ হাজরার অভিযোগ, “৭ লক্ষ টাকা বকেয়া আছে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে দিলেও টাকা মিলছে না। এদিকে টাকা না পেয়ে শ্রমিকেরা গালিগালাজ, মারধর করছেন।” তাই বাধ্য হয়ে এ দিন কর্মীদের তালাবন্দি করে রাখতে হয়েছে বলে জানান গোরাচাঁদবাবু। |
যদিও প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, কাজ না করে ভুয়ো মাস্টাররোল জমা দেওয়া হয়েছে। তাই কাজের মাপজোক করায় কেউ কেউ আপত্তি তুলেছেন। অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন সুপারভাইজার ও শ্রমিকেরা। বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। মাপজোকে অসঙ্গতির বিষয় জানা গিয়েছে। তদন্ত করে দেখার জন্য বিডিওকে বলা হয়েছে।” এ দিকে, পঞ্চায়েত সচিব আশিসকুমার ভট্টাচার্য বলেন, “২৫ মার্চের মধ্যে সুপারভাইজাররা মাস্টাররোল জমা দিয়েছেন। পঞ্চায়েতে থাকা টাকা ৪টি সংসদে কিছু কিছু দেওয়া হয়েছে। মাস্টাররোল অনুযায়ী প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা বকেয়া আছে। এ দিন ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে সুপারভাইজারদের নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল। তার আগেই তাঁরা ৯ জন কর্মীকে তালাবন্দি করে রাখলেন। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” |