|
|
|
|
ধর্ষণ-কাণ্ডে আরও ৩ জনকে পরোয়ানা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
‘ধর্ষিতা’র বর্ণনা শুনে আঁকা ছবি দেখে দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে ফেলেছিল পুলিশ। সেই সূত্র ধরে খুঁজে পাওয়া তিন জনের বিরুদ্ধে বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কাটোয়া আদালত।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বর্ধমানে কাটোয়া-আমোদপুর ছোট লাইনে ডাকাতির সময়ে এক মহিলাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বীরভূমে লাভপুরের চৌহাট্টা গ্রাম থেকে ধৃত ফরিদ শেখ ও নয়ন শেখকে গত ১৯ মে কাটোয়া উপ-সংশোধনাগারে গিয়ে চিহ্নিত করেছেন অভিযোগকারিণী। ঘটনার সময়ে তাঁর সঙ্গে থাকা ১১ বছরের মেয়েও তাদের শনাক্ত করে। তবে কাটোয়ার কেশিয়া থেকে ধৃত নুর মহম্মদ ও সেন্টু শেখকে তিনি চিনতে পারেননি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশের ধারণা, তারা ট্রেন ডাকাতি ও ধর্ষণে যুক্ত না-ও থাকতে পারে।
আঁকা ছবির সূত্রে বৃহস্পতিবার যাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা দারি হয়েছে তারা হল রেজাউল মির্জা ওরফে বাবু, কালাম শেখ ও কায়েশ শেখ। বাড়ি যথাক্রমে মুর্শিদাবাদে বড়ঞার বদুয়া গ্রামে, বীরভূমে নানুরের পোষলা গ্রামে ও বর্ধমানের কেতুগ্রামে। অভিযোগকারিণীর বর্ণনা শুনে আঁকা দু’টি ছবি দেখেই কেতুগ্রাম থানার পুলিশ আন্দাজ করেছিল, তারা রেজাউল ও কালাম। বদুয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ তার ভোটার পরিচয়পত্র জোগাড় করে। পরে বড়ঞার বিডিও-র কাছ থেকে মেলে ফটোগ্রাফও। একই ভাবে নানুর থেকে কালাম শেখের ছবি জোগাড় করে পুলিশ।
এর পরে অনেক ছবির মধ্যে ওই ছবি দু’টি মিশিয়ে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে বলে পুলিশ। তিনি রেজাউল ও কালামের ছবি বের করেন। ওই দু’জনের বাড়ি থেকে পাওয়া সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে, কায়েশ শেখ নামে আরও এক জন দলে ছিল। বাড়ি কেতুগ্রাম থানার কাছেই। বুধবার ওই তিন জনকে গ্রেফতারের জন্য কাটোয়া আদালতে আবেদন করেন কেতুগ্রাম থানার আইসি আব্দুর গফ্ফর। কিন্তু কাউকেই ধরা যায়নি।
বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “সংশ্লিষ্ট থানাগুলিকে খবর দিয়েছি।” অভিযোগকারিণী বলেন, “পুলিশকে সব রকম সাহায্য করছি। ভবিষ্যতেও করব। ওই শয়তানরা যাতে শাস্তি পায়, তা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে।” |
|
|
|
|
|