পঞ্চায়েত ভোট কবে, জানতে চিঠি কমিশনের
রাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে, পঞ্চায়েত দফতরের কাছে তা চিঠি দিয়ে জানতে চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত পঞ্চায়েতগুলির মেয়াদ রয়েছে। প্রশাসনের একটি অংশের ধারণা, তার আগেই আগামী বছরের গোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করে ফেলতে পারে রাজ্য সরকার।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় কমিশনের চিঠি দেওয়ার কথা জানালেও নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, “নির্বাচন কবে হবে, তা আমার একার সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করে না। এই নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হবে। তা ছাড়া, আরও কিছু পদ্ধতিগত বিষয় রয়েছে।”
পঞ্চায়েত নির্বাচন কি এগিয়ে আনা হচ্ছে? সুব্রতবাবুর বক্তব্য, “এই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। নির্বাচন কমিশন যে চিঠি দিয়েছে, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার এখনও কোনও কথা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরে উনি যা নির্দেশ দেবেন, সেই অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত হবে। আমিও সেই সিদ্ধান্তই নির্বাচন দফতরে জানিয়ে দেব।” মহাকরণের খবর, পঞ্চায়েতের মতো বড় মাপের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কমিশনের কয়েক মাস সময় লাগে। সেই কারণেই নির্বাচন কমিশন আগেভাগে চিঠি দিয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।
আগামী পঞ্চায়েত ভোট কবে করা উচিত, তা নিয়ে প্রধান শাসক দলের অন্দরেই অবশ্য দ্বিমত আছে। তৃণমূলের একাংশের মত, সুব্রতবাবু পঞ্চায়েতমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরে দফতরের কাজে গতি এসেছে। গ্রামাঞ্চলে আরও কিছু কাজ হওয়ার পরে তার ‘সুফল’ তুলতে নির্ধারিত সময়েই পঞ্চায়েত ভোট করা হোক। আবার তৃণমূলেরই অন্য একাংশ মনে করে, ‘পরিবর্তনে’র যে হাওয়ায় ভর করে গত বছর মমতা ক্ষমতায় এসেছিলেন, তা ফিকে হওয়ার আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচন সেরে ফেলা হোক। এমনিতে পঞ্চায়েত ভোট কয়েক মাস আগে-পিছে করার এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের হাতে আছেই। এই দুই মত বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতাই।

কর আদায়ে পোর্টাল রাজ্যের
ই-পরিষেবার মাধ্যমে ভ্যাট-সহ যাবতীয় কর আদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে একটি ‘পোর্টাল’ তৈরি করছে রাজ্য সরকার। আজ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এই খবর জানান। তাঁর কথায়, “কয়েকটি দফতরের পোর্টাল রয়েছে। কিন্তু আমরা কেন্দ্রীয় ভাবে রাজ্য স্তরে একটি পোর্টাল তৈরি করছি।” এই পরিষেবা চালু হলে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে মনে করছে অর্থ দফতর। সরকারি অফিসার ও কর্মীদের বেতন এবং ভ্যাট-সহ বিভিন্ন খাতে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ে অন্যতম ভূমিকা নিচ্ছে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। ই-পরিষেবা চালু করে বাম আমলে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হত। নতুন সরকারের আমলে পরিধি বাড়িয়ে এখন ১১টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কর আদায় করা হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তাঁর দাবি, “রাজ্যের ভ্যাট আদায়ের ৮০% এখন ই-পরিষেবার আওতায় এসেছে।” কর্মীদের বেতন-সহ কর আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা নিয়ে অর্থমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.