হনুমানের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পথ অবরোধ করলেন মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত এক সপ্তাহে হনুমানের আক্রমণে জখম হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। বন দফতরকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। এরই জেরে শুক্রবার সকালে বসিরহাটের বেগমপুরে টাকি রোড অবরোধ করেন এলাকার মানুষ। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন। হনুমান ধরতে না পারলে ফের অবরোধ করা হবে বলে জানিয়ে রেখেছেন বাসিন্দারা। বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, হনুমান ধরতে গ্রামের মধ্যে খাঁচা পাতা হয়েছে। |
বসিরহাটের ধান্যকুড়িয়া এলাকায় হনুমানের দাপট নতুন ঘটনা নয়। কয়েক দিন ধরে নেহালপুর, বিবিপুর, বেগমপুর-সহ ধান্যকুড়িয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এক পাল হনুমান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় প্রতি দিনই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন পবননন্দনদের হাতে। ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। হেঁসেলে ঢুকেও হামলা চালাচ্ছে হনুমানের পাল। ছাদে শুকোতে দেওয়া জামা-কাপড় ছিঁড়েখুঁড়ে পালাচ্ছে হনুমানেরা। বাধা দিতে গেলে দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসছে। ইতিমধ্যে কয়েক দন জখমও হয়েছেন। গাছের আম নষ্ট করছে তারা। বন দফতরকে অবিলম্বে হনুমান ধরতে হবে, এই দাবিতে এ দিন সকাল ৮টা থেকে টাকি রোডে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় মানুষ।
এর জেরে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগের চূড়ান্ত হয়। ক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরাও। বেলা সাড়ে ১১টার পরে অবরোধ ওঠে। বিক্ষোভকারীদের তরফে খালেক বৈদ্য মালিক, মরিয়ম বিবি বলেন, “অনেক সময়ে হনুমানগুলি শান্ত হয়েই এ গাছ ও গাছ লাফিয়ে-ঝঁপিয়ে বেড়ায়। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ওরা কেমন যেন অশান্ত হয়ে উঠেছে। যাকে পাচ্ছে কামড়াচ্ছে, আঁচড়াচ্ছে। ধান্যকুড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কয়েক জন আক্রান্তের চিকিৎসাও করানো হয়েছে।” |