পুরকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
কর্তব্যরত অবস্থায় পুরপ্রধানের ঘরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা পাকানোর অভিযোগ উঠল রামপুরহাট পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার থানায় আরসাদ হোসেন নামে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি। পুরপ্রধানের অভিযোগ, “ওই অস্থায়ী কর্মী বুধবার দুপুরে পুরসভায় ঢুকে স্যানিটারি ইনস্পেক্টর সুষেন মণ্ডলকে মারধর করার হুমকি দিয়ে যান। শুধু তাই নয়, ওই দিন স্মারকলিপি দিতে আসা ওয়ার্ডবাসীদের সঙ্গে আরসাদ হোসেন ঢুকে আমাকে এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামীকে গালিগালাজ করেন, পুরসভার কাজেও বাধা পড়ে।” কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি ওই দিন অভিযোগ করেননি।
আরবাস হোসেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান আব্বাস হোসেনের দাদা। অভিযোগ অস্বীকার করে আরসাদ হোসেন বলেন, “চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমি পুরসভায় কাজ করছিলাম। ওয়ার্ড কমিটি স্মারকলিপি দিতে এসেছে দেখে ওই কমিটির এক জন সদস্য হিসেবে আমিও যাই।” তাঁর পাল্টা দাবি, “৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পুরসভার সুইপার টুটুল হাজরা শারীরিক দিক থেকে অক্ষম। ওই ব্যক্তি বর্তমানে এক জন লোককে দিয়ে কাজ করান। অথচ এ মাসে তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” তাঁর পাল্টা দাবি, “বুধবার ওয়ার্ড কমিটির ১০-১৫ জন সদস্য পুরপ্রধানের কাছে তার কারণ জানতে চান। পুরপ্রধান জবাব দেওয়ার পাশাপাশি কাউন্সিলরের স্বামী জবাব দিতে গেলে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বচসা হয়। বেতন বন্ধ করে দেওয়ার আগে টুটুল হাজরাকে শো-কজ করা হয়নি।”
এ দিকে, স্যানিটারি ইনস্পেক্টর স্মারকলিপি দিতে আসা মহিলাদের হাত ধরে টানাটানি করেছেন বলে থানায় পাল্টা অভিযোগ হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরপ্রধান। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। বেতন বন্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে পুরপ্রধানের বক্তব্য, “যে লোককে দিয়ে টুটুল হাজরা কাজ করাচ্ছিলেন, সম্প্রতি ওই লোক কোনও হাজিরা দিতে আসেননি। তাই তাঁর বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন স্যানিটারি ইনস্পেক্টর সুষেন মণ্ডল।” সুষেনবাবু বলেন, “পুরপ্রধানের নির্দেশে ওই কর্মীর বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ” পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, “টুটুল হাজরার পরিবারকে ভাল ভাবে কাজ করার জন্য বুঝিয়ে বলা হয়েছে। এ মাসে কিছু আর্থিক সুবিধা দেওয়া এবং ফের বেতন চালু করা হবে।”
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
শহরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ, যানজট রুখতে বাইপাস এবং বিধায়ক কোটার টাকায় ইসলামপুর ইদগাহ কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুবরাজপুরের পুরপ্রধানকে স্মারকলিপি দিল সিপিএম। সিপিএমের অভিযোগ, পাইপ লাইনের মাধ্যমে অজয় নদ খেকে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও বেশ কযেকটি ওয়ার্ড সেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। যে যে ওয়ার্ডগুলিতে এই পরিষেবা চালু রয়েছে সেখানকার বাসিন্দারাও পর্যাপ্ত পানীয় জল পান না। এ ছাড়া, এই শহরের মাঝ বরাবর রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক যাওয়ায় নিত্য যানজটে নাকাল হতে হয়। অবিলম্বে বাইপাস প্রয়োজন। অথচ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুরসভা। পুরপ্রধান কংগ্রেসের পীযূষ পাণ্ডের দাবি, “অন্যান্য শহরের তুলনায় পানীয় জল সরবরাহ দুবরাজপুরে অনেক ভাল। যে যে ওয়ার্ডগুলিতে এই পরিষেবা চালু হয়নি সেখানে গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে।” আর বাইপাস প্রসঙ্গে পীযূষবাবু বলেন, “ছোট পুরসভার পক্ষে এ ব্যপারে কিছু করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে বহুবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু কোনও সদুত্তর নেই। তা সত্বেও সিপিএমের যে যে বিষয় স্মারকলিপিতে রয়েছে সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।” |