|
|
|
|
১০০ দিনের কাজে পিছিয়ে কালনা, বললেন প্রকল্প কমিশনার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পূর্বস্থলী |
জেলা প্রশাসনের তরফে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মহকুমা ভিত্তিক একটি বিশেষ পর্যালোচনার আয়োজন করা হল বৃহস্পতিবার বিকেলে। পূর্বস্থলী ১ ব্লকে নজরুল মঞ্চে আয়োজিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম সুনিশ্চয়তা প্রকল্পের রাজ্য কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার, জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা, মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি, কালনা মহকুমার ৫টি ব্লকের পঞ্চায়েত প্রধান ও বিধায়ক, বিডিও-সহ বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক।
২০১১-১২ আর্থিক বছরে জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজের হাল-হকিকৎ নিয়ে আলোচনা হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে মহকুমার প্রতিটি পঞ্চায়েতের উদ্দেশে ১০০ দিনের কাজ সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তাতে ওই আর্থিক বছরে কর্ম দিবস তৈরি, কত জন মহিলাকে কাজ দেওয়া গিয়েছে ইত্যাদির পরিসংখ্যানের পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে জেলার সাফল্যের খতিয়ান দেওয়া হয়। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
ওই সভায় দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল বাদ দিলে পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১০০ দিনের কাজে বেশ পিছিয়ে পড়েছে কালনা মহকুমা। জেলা প্রশাসনের ওই প্রতিবেদনে কালনার কোনও উল্লেখ নেই।” তিনি জানান, বর্ধমান জেলা ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে। তাঁর কথায়, “শুধু রাজ্যে নয়, দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি টাকার কাজ হয়েছে এই জেলায়।” তিনি বলেন, “কালনাকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।” যদিও তাঁর কথার সঙ্গে সহমত নন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা। তাঁর কথায়, “প্রতিবেদনে কালনার উল্লেখ না থাকলেও, এমন নয় যে কালনায় ভাল কাজ হয়নি।” তাঁর দাবি, গত আর্থিক বছরের তুলনায় এই বছর কালনা ওই প্রকল্পে অনেক উন্নতি করেছে। বিশেষত, পূবর্স্থলী ২ ব্লকের অগ্রগতি বিশেষ প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগেও পূর্বস্থলীর কোবলা বিল কচুরিপানায় ভর্তি ছিল। স্থানীয় শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত ১০০ দিনের প্রকল্পে তা সংস্কার করে। তা দেখে পঞ্চায়েত মন্ত্রীও আপ্লুত হয়েছিলেন।” অন্য দিকে এদিনই সবথেকে বেশি লোককে কাজ দেওয়া, মহিলাদের কাজ দেওয়া, প্রকল্পের বেশির ভাগ টাকাই মজুরি হিসেবে খরচ করার নিরিখে পুরস্কৃত হয় কালনা ১ ব্লকের বেগপুর পঞ্চায়েত। মন্তেশ্বরের দেনুর পঞ্চায়েত, কালনা ২ ব্লকের সাতগাছিয়া, আনুখাল পঞ্চায়েতও ট্রফি পায়। এছাড়াও ১ লক্ষ ও তার বেশি শ্রমদিবস সৃষ্টি বা ১ কোটি টাকার বেশি কাজ হওয়ায় মহকুমার ২৩টি পঞ্চায়েতকে জেলা প্রশাসনের তরফে ২০০০০ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। চলতি আর্থিক বছরে ১৩ কোটি টাকারও বেশি কাজ করে পুরস্কৃত হয় কালনা ১ ব্লক। জেলাশাসক সুমিতা বাগচি বলেন, “জেলা প্রশাসনের এই ধরণের পুরস্কার পঞ্চায়েতগুলিকে আরও ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে। পিছিয়ে থাকা পঞ্চায়েতগুলিও এগিয়ে আসার চেষ্টা করবে।” |
|
|
|
|
|