|
|
|
|
|
ফর্মুলা ওয়ানে এ বার চেলসি
মহাশ্বেতা ভট্টাচার্য • কলকাতা |
|
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার পরে এ বার ফর্মুলা ওয়ানের ট্র্যাকেও নেমে পড়ছে চেলসি!
সৌজন্য, আন্তর্জাতিক খেলার দুনিয়ায় সোমবারের ফুটবল-ফর্মুলা ওয়ান অভূতপূর্ব গাঁটছড়া।
ক্রীড়া বিপণনের চিন্তায় চমক জাগানো নতুন মোচড় আমদানি করে এ দিন চেলসির সঙ্গে জুড়িদারি শুরু হল সুইস ফর্মুলা ওয়ান টিম স্যবার-এর। দুই দলের তরফে বলা হয়েছে, নতুন প্রতিভা তুলে আনা থেকে ক্রীড়া বাণিজ্য— সব ক্ষেত্রেই এই পার্টনারশিপে লাভ দেখছে তারা।
লাভ হতে পারে ভারতীয় খেলা পাগলেরও। নতুন গাঁটছড়ার টানে ভারতীয় গ্রাঁপ্রি-তে এ বার ল্যাম্পার্ড বা দ্রোগবার মতো চেলসি তারকারা হাজির থাকলে অবাক হওয়া যাবে না।
স্যবারের মণীষা ক্যালটেনবর্ন ফর্মুলা ওয়ানের একমাত্র মহিলা সি ই ও। জন্মসূত্রে ভারতীয় মণীষার সঙ্গে এ দিন ই-মেলে যোগাযোগ করা হলে জানালেন, “প্রিমিয়ার লিগে এটা চেলসির ২০তম মরসুম। ফর্মুলা ওয়ানে আমাদের ২০তম বছর। চিন্তাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। চেলসির সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয় আগেই। চিন এবং বাহরিন রেসে আমাদের গাড়িতে ‘আউট অব দ্য ব্লু’ এবং ‘ট্রু ব্লু’ লেখাগুলো দেখে থাকবেন। ওটা ছিল পরীক্ষা। সেটা সফল হওয়ায় এ বার ‘ব্লু’ টিমের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে ফেলা হল।”
নতুন ব্যবস্থায়, প্রতিটা ফর্মুলা ওয়ান রেসে চেলসির লোগো থাকবে স্যবারের গাড়িতে। চেলসির সব হোম ম্যাচে মাঠে জ্বলজ্বল করবে স্যবারের লোগো। এ ভাবেই নিজের নিজের খেলার জগতের বাইরে গিয়ে নতুন নতুন বাজারে নিজেদের উপস্থিতি টের পাওয়ানো জুড়িদারির প্রধান লক্ষ্য। নতুন প্রতিভা তুলে আনা এবং ক্রীড়া গবেষণার আদানপ্রদানও হবে।
মণীষার মতে ফুটবল আর ফর্মুলা ওয়ানের মধ্যে অনেক মিল। চেলসির চিফ এক্সিকিউটিভ রন গোরলেও প্রায় একই কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, “আদর্শগত ভাবে দু’টো দলে অনেক মিল। এতে নতুন বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি হবে।” ব্যাপারটা বহুজাতিক স্পনসরদের কাছে দারুণ লোভনীয়। এক দিকে প্রিমিয়ার লিগের বাজার, অন্য দিকে ফমুর্লা ওয়ানের টিভি দর্শকরা। এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার যে সব দেশে প্রিমিয়ার লিগ পৌঁছোয় না, সেখানে টিভির মাধ্যমে ফর্মুলা ওয়ানের রমরমা উপস্থিতি। সব মিলিয়ে ক্রীড়া বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত খুলে যাওয়ার অপেক্ষা। |
|
|
|
|
|