নিঃশেষিত সব টিকিট, হাহাকার শহর জুড়ে
দাদা বনাম খান দেখাতে শহরে জায়ান্ট স্ক্রিন বসাচ্ছে সিএবি
পুণে বনাম কেকেআর মহারণের টিকিট পাননি? হতাশ লাগছে? দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর ব্যবস্থা রাখছে সিএবি। আইপিএলে যা কখনও হয়নি, ময়দান ছাড়াও শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন। যেখানে শনিবারের ‘দাদা বনাম খান’ দ্বৈরথ বড় পর্দায় উপভোগ করতে পারবেন কলকাতাবাসী। হতে পারে সান্ত্বনা পুরস্কার, কিন্তু সিএবি-র উদ্যোগে আরও অসংখ্য দর্শক মাঠের বাইরে থেকেও ম্যাচ দেখতে পারবেন।
বাকি ছিল দশ হাজার টিকিট। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ টিকিট কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখা গেল, ওই কাঠফাটা রোদেও উৎসাহের অন্ত নেই। মহমেডান মাঠের সামনে সব কাউন্টারেই গিজগিজে ভিড়। দীর্ঘ লাইন, ঘুরছে ঘোড়সওয়ার পুলিশ। রবিবারের খণ্ডযুদ্ধের পর আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি কলকাতা পুলিশ। এ দিন আরও দু’টো কাউন্টার খুলে দেওয়া হয়। এবং মাত্র ছ’ঘণ্টার মধ্যে বাকি দশ হাজার টিকিট নিঃশেষিত। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কাউন্টারের বাইরে সাইনবোর্ড ঝুলে গেল: ‘কেকেআর ভার্সাস পুণে ওয়ারিয়র্স ম্যাচ। অল টিকিটস সোল্ড।’ তখনও ময়দানে দাঁড়িয়ে হাজার দেড়েক টিকিট-প্রত্যাশী জনতা। ভাগ্য ভাল, পুলিশকে এ দিন আর লাঠি চালাতে হয়নি। মাউন্টেড পুলিশকে ছোটাতে হয়নি ঘোড়া। বিক্ষোভের রাস্তায় না হেঁটে জনতার মুখে শুধু টুকরো আফশোস। এত করেও তো টিকিট জোগাড় করা গেল না।
মহারণের সাক্ষী থাকার আশায়। সোমবার মহমেডান মাঠে টিকিটের জন্য লাইন। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
শনিবারের মহাযুদ্ধকে ঘিরে যে আবেগ তৈরি হয়েছে, তাকে শুধুমাত্র ‘উন্মাদনা’ শব্দে ধরা কঠিন। কারও মনে পড়ছে সত্তর দশকের ইডেনে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের উন্মাদনার কথা। কেউ আবার তুলে আনছেন ভারত-শ্রীলঙ্কা ’৯৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল। আইপিএলের একটা ম্যাচ নিয়ে শেষ কবে শহর এমন উত্তুঙ্গ আবেগ দেখেছে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। টিকিটের হাহাকার এতটাই যে, কলকাতা পুলিশ ময়দানি বটতলা শুধু নয়, গোটা শহরেই কালোবাজারি বন্ধে নজর রাখছে।
চলতি আইপিএলে সবচেয়ে বেশি টিআরপি কুড়োচ্ছে ৫ মে-র ম্যাচ। ইডেনের উইকেট নিয়ে যাতে কোনও রকম বিতর্ক না বাঁধে, তা নিশ্চিত করতে আগেভাগে শহরে হাজির হচ্ছেন বোর্ডের পিচ কমিটির চেয়ারম্যান বেঙ্কটসুন্দরম। আসছেন আইপিএল কমিটির চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লও। টিকিট নিয়ে রবিবারের তাণ্ডব দেখে শঙ্কিত সিএবি নিজ-উদ্যোগে বসিয়ে দিচ্ছে জায়ান্ট স্ক্রিন। শুধু ময়দান চত্বরেই ছ’টা থাকবে। আরও ছ’টা থাকবে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রস্থলে। উদ্দেশ্য, পথ চলতি মানুষকে টাটকা ম্যাচ দেখার স্বাদ এনে দেওয়া। আর নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি? ক্লাবহাউসে উঠে গম্ভীর-সৌরভদের প্র্যাক্টিস দেখাও বন্ধ। দেখতে হলে যেতে হবে ‘বি’ বা ‘সি’ ব্লকে। ম্যাচের দিন রেড রোড থেকে শুরু হয়ে যাবে নিরাপত্তা-বলয়।
সরকারি কোনও ই-মেল আসেনি ঠিকই। কিন্তু মৌখিক ভাবে আইপিএল কমিটি সিএবিকে বুঝিয়ে দিয়েছে, ২৭ মে নয়। ৫ মে-ই আইপিএল ফাইনাল। যে মহারণ নিয়ে কোনও রকম গাফিলতি যেন না থাকে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.