গত তিন বছরের টানা নজরদারি ও সুমারি শেষে আজ, কাজিরাঙা ব্যাঘ্র প্রকল্প নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করল অসম বন দফতর। কাজিরাঙায় বাঘের সংখ্যা ১১৮টি বলে এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তবে সুমারি চলাকালীনই ছ’টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১১ অবধি শতাধিক ক্যামেরা ব্যবহার করে কাজিরাঙার চারটি রেঞ্জে বাঘের হদিস করা হয়।
বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন, প্রধান মুখ্য বনপাল সুরেশ চাঁদ, কাজিরাঙার অধিকর্তা সঞ্জীব বরা, ডিএফও দিব্যধর গগৈ ও বাঘ গণনার মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত এম ফিরোজ আহমেদ আজ কাজিরাঙায় রিপোর্ট প্রকাশ করে জানান, গত বছর এনটিসিএ কর্তৃপক্ষ কাজিরাঙায় বাঘের যে হিসাব দিয়েছিলেন সেই অনুযায়ী এখানে বাঘের সংখ্যা ছিল অন্তত ৮১ ও সর্বাধিক ১৩১টি। কাজিরাঙা থেকে কার্বি আংলং, নামেরি ও ব্রহ্মপুত্রের চর বরাবর বাঘের বিস্তীর্ণ চারণভূমি। কাজিরাঙার হাতি-ঘাসের মধ্যে ক্যামেরা বসানো ও বাঘ গণনার কাজ কঠিন ছিল।
অবশেষে সাফল্যের সঙ্গে ক্যামেরা-সুমারি সারা হয়েছে। রকিবুল হুসেন বলেন, “বনকর্মীদের নিরলস প্রয়াসের ফলে কাজিরাঙায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও খাদ্য-প্রাণীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলেই বাঘের জন্য এই জঙ্গলের পরিবেশ আরও উপযুক্ত হয়ে উঠেছে।” ফিরোজ আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে ৫০টি ক্যামেরা ব্যবহার করে ৪০টি, ২০১০ সালে প্রথম দফায় ৩৫টি ক্যামেরা ব্যবহার করে ২৮টি, দ্বিতীয় দফায় ২৬টি ক্যামেরা বসিয়ে ২০টি ও ২০১১ সালে ১০৭টি ক্যামেরা ব্যবহার করে ৬৯টি বাঘের ছবি মেলে। তার মধ্য থেকে চুলচেরা বিশ্লেষণের পরে তাদের আলাদা করা হয়। এরপরেই বাঘের বর্তমান সংখ্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সহমত হন। |