মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন কলকাতায় আসার এক সপ্তাহ আগে সোমবার শহরে ঘুরে গেলেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল। মহাকরণে গিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে তার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি তিনি। তাঁর তরফে দেওয়া হয়েছে একটি প্রেস বিবৃতি।
সেই বিবৃতিতে কূটনৈতিক সৌজন্যের কোনও ত্রুটি রাখেননি ন্যান্সি। কনসাল-জেনারেল হিসেবে কলকাতায় ৯২-৯৩ সাল কাটিয়েছিলেন তিনি। প্রায় কুড়ি বছর পরে শহরের ব্যাপক ‘বদল’ তাঁকে চমৎকৃত করেছে বলে লিখেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বিবৃতিতে এ-ও লিখেছেন, ‘‘রাজ্যে একটা নতুন প্রাণবন্ত ভাব টের পাচ্ছি।” যেটা তাঁর কাছে আশাব্যঞ্জক। সেই নিরিখেই বিদেশ সচিবের আসন্ন সফর সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “বহু বছর আগে তিনি (হিলারি) এই শহরে এসেছিলেন। আমার মনে হয়, এই শহর এবং পূর্ব ভারত কতটা বদলে গিয়েছে এবং কী উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে, তা নিজের চোখে দেখার সুযোগ পাবেন তিনি।” সামগ্রিক ভাবে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরা হয়েছে তাঁর বিবৃতিতে। |
মহাকরণে ন্যান্সি পাওয়েল। নিজস্ব চিত্র। |
ভারত সরকার ‘সিদ্ধান্তহীনতায়’ ভুগছে বলে মার্কিন লগ্নিকারীদের তরফে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে মেমো পাঠানো হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, এই অবস্থায় ভারতে লগ্নির ক্ষেত্রে কতটা অসুবিধায় পড়ছেন তাঁরা। আর্থিক সংস্কারের ক্ষেত্রে (বহু ব্র্যান্ডের রিটেলে বিদেশ লগ্নি যার অন্যতম) সেই ‘সিদ্ধান্তহীনতার’ পিছনে বিরোধীরা তো বটেই, শরিক তৃণমূল কংগ্রেসেরও যে বড় ভূমিকা আছে, তা অজানা নয় মার্কিন লগ্নিকারী এবং প্রশাসনের। তবে সোমবার রাষ্ট্রদূতের লিখিত বিবৃতিতে তার কোনও প্রতিফলন ঘটেনি। তাতে সেই সৌজন্য বজায় রেখেই লেখা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গকে চাঙ্গা করার জন্য তাঁর পরিকল্পনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সকালে রাজ্যপালএম কে নারায়ণনের সঙ্গেও দেখা করেছেন রাষ্ট্রদূত। |