টুকরো খবর
বৃদ্ধের ‘ঝাঁপ’ মেট্রোয়, ব্যস্ত সময়ে যাত্রী-দুর্ভোগ
ফের মেট্রোয় ‘ঝাঁপ’। মৃত্যু হল অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধের। সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে গিরিশ পার্ক স্টেশনে। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, দমদমমুখী একটি ট্রেনের সামনে ‘ঝাঁপ’ দেন ওই বৃদ্ধ। এর পরে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয় মেট্রো পরিষেবা। বাতিল হয় পাঁচ জোড়া ট্রেন। যার জেরে অফিস-ফেরত যাত্রীরা চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েন। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’মাসে পরপর কয়েকটি ঘটনায় চলন্ত মেট্রোর সামনে কয়েক জন ‘ঝাঁপ’ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশির ভাগ ঘটনাতেই প্ল্যাটফর্মে থাকা আরপিএফ-কর্মীরা তাঁদের আটকে দেন। কিন্তু এ দিন আর তা হয়নি। সকলের অলক্ষ্যেই ট্রেনের সামনে আচমকা ‘ঝাঁপ’ দেন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ওই বৃদ্ধ। ট্রেনটির চালক সঙ্গে সঙ্গে আপৎকালীন ব্রেকও কষেছিলেন, তবু ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো যায়নি। বেশ অনেকটা দূরত্ব এগিয়ে গিয়েছিল ট্রেনটি। পরে পিছিয়ে এনে দেহটি বার করতে সময় লেগে যায়। তার জন্যই বন্ধ রাখতে হয় মেট্রো পরিষেবা। মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “ট্রেনের চালক অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো যায়নি।” পুলিশ জানায়, ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখেই ওই ব্যক্তি ‘ঝাঁপ’ দিয়েছেন। যার জেরে খুব জোরে ধাক্কা লেগেছে তাঁর। আর তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। বছর ষাটেকের ওই ব্যক্তির হাতে কোনও ব্যাগও ছিল না। ফলে রাত পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।

মোবাইলে সূত্র, তবু ধরা যায়নি তারককে
তৃণমূলকর্মীকে পিটিয়ে সেই যে তিনি উধাও হয়ে গিয়েছেন, আর তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ। কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল, সেই তারক দাস এই মুহূর্তে কোথায় আছেন, মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন থেকে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তাতে জানা গিয়েছে, কলকাতা ও তার আশপাশেই গা-ঢাকা দিয়ে আছেন তিনি। তা জানা সত্ত্বেও তারককে ধরতে পারেনি পুলিশ। ২৬ এপ্রিল রাতে পাটুলির রবীন্দ্রপল্লির যুবক প্রদীপ ঘোষকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ রয়েছে তারকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরে তারককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশ ওই কনস্টেবল এবং তাঁর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ সোমবার বলেন, “গুন্ডা দমন শাখার অফিসারেরা তারক দাসের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করেছেন।” মোবাইলের টাওয়ার পরীক্ষা করে এর আগে অনেক অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তারককে ধরতে পারছেন না কেন? জবাব মেলেনি। গোয়েন্দা-প্রধানের দাবি, শীঘ্রই তারকদের ধরা যাবে। লালবাজার সূত্রের খবর, গুন্ডা দমন শাখার কাছে খবর ছিল, সোমবার আলিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যাবেন তারক এবং তাঁর দুই ভাই। পুলিশ সারা দিন আদালত-চত্বরে নজর রেখেছিল। কিন্তু তারক বা তাঁর ভাইয়েরা এ দিন আত্মসমর্পণ করেননি। পুলিশ জানায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি, শিল্প ধর্মঘটের দিন যাদবপুরে সাংবাদিক-নিগ্রহের ঘটনার জেরে সাসপেন্ড হয়েছিলেন তারক। সেই সাসপেনশন ওঠে ২৫ এপ্রিল। ২৬ এপ্রিল মেটিয়াবুরুজ থানায় যোগ দেন তারক। সে-রাতেই তারকের বিরুদ্ধে প্রদীপবাবুকে মারার অভিযোগ ওঠে।

মেরামতির সময়েই কামরায় ধাক্কা ট্রেনের
ট্রেনের একটি কামরাকে বেশ খানিকটা উপরে তুলে তার নীচে গিয়ে পরীক্ষা করছিলেন সাত জন কর্মী। হঠাৎ সেই কামরায় এসে ধাক্কা মারল একটি শান্টিং ট্রেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে পূর্ব রেলের চিৎপুর ইয়ার্ডে। ট্রেনের ধাক্কায় কামরাটি ওই উচ্চতা থেকে নীচে পড়ে গেলে সাত কর্মীরই চেপ্টে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা। রেলের আধিকারিকেরা জানান, ইয়ার্ডে মেরামতির সময় কার ভুলে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, বিভাগীয় তদন্তে তার হদিস পাওয়ার চেষ্টা চলছে। চারটি ‘জ্যাক’ দিয়ে লাইনের বেশ কিছুটা উপরে তুলে একটি কামরার ‘ব্রেক সিলিন্ডার’ সারানো হচ্ছিল। ওই লাইনে অন্য পাঁচটা কামরা নিয়ে এসে একটি ইঞ্জিন ধাক্কা মারে বিকল কামরাটিকে। কামরাটি মুখ থুবড়ে সামনে ছিটকে পড়ে। দু’টি জ্যাকও ভেঙে ছিটকে পড়ে লাইনের পাশে।

স্কুলে জয়ী তৃণমূল
বেহালা গার্লস স্কুলের পরিচালক কমিটি সি পি এমের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। বহুদিন পর রবিবার বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ছয়টি আসনেই জয়ী হয় তৃণমূল। কিছু বৈধ অভিভাবককে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ভোট দিতে বাধা দেওয়ায় গণ্ডগোল হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। গভীর রাতে ফল ঘোষিত হয়। কলকাতা পুরসভার ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোকা মণ্ডল বললেন, “ভোট জালিয়াতি করে এখানে সি পি এম জিতত। এ বার অভিভাবকরা রুখে দাঁড়িয়েছেন বলে তৃণমূল জিতেছে।”

তোলাবাজি, ধৃত যুব কংগ্রেস নেতা
রিভলভার উঁচিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগে কংগ্রেসের এক যুব নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রাকেশ সিংহ। গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখা সোমবার সন্ধ্যায় হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে রাকেশকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, রাকেশ গত ফেব্রুয়ারিতে এক ব্যবসায়ীর অফিসে গিয়ে রিভলভার দেখিয়ে ২৪ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্মী ইউনিয়নও রাকেশের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রতিবাদ মিছিল
১৯৮২ সালের ৩০ এপ্রিল আনন্দমার্গের ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীকে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে প্রতি বছরের মতো এ বারও মিছিলের আয়োজন করল আনন্দ মার্গ প্রচারক সঙ্ঘ। সোমবার দুপুর সওয়া দুটো নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক থেকে ওই মৌন মিছিলে অংশ নেন প্রায় ৫০০ আনন্দমার্গী এবং শহরের নাগরিক সমাজ। বিকেল ৩টেয় মিছিল বিজন সেতুতে পৌঁছনোর পরে নিহতদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.