ডুয়ার্সে কুমারগ্রাম ব্লকে বারবিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কেবলমাত্র বহির্বিভাগই রোগীদের ভরসা। তাও চিকিৎসকদের পাওয়া যায় না। সপ্তাহে দু’একদিন যে চিকিৎসকরা আসেন তাঁরাও প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ। প্রায়ই বর্হিবিভাগে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পরে তাঁদের ফিরে যেতে হয়। পরিষেবার বেহাল পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারাও। পরিস্থিতি উন্নতির দাবি করে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কুমারগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু ঠাকুর বলেন, “সমস্যার কথা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে।
চিকিৎসকেরা ঠিকমত দায়িত্ব পালন করেন সেটা দেখা হচ্ছে।” বাসিন্দারা জানান, ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উপর নির্ভরশীল। অথচ ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না। চিকিৎসার জন্য রোগীকে বাধ্য হয়ে ১২ কিলোমিটার দূরের কামাখ্যাগুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। রাতে কামাখ্যাগুড়িতে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য সুকুমাররঞ্জন সরকার বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যা এবং প্রসূতি বিভাগ চালু করার দাবি জানানো হয়েছে।” কুমারগ্রাম ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি অভীক রায় বলেন, “বারবিশা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খাতায় কলমে শয্যার ব্যবস্থা কিন্তু রয়েছে। অথচ বাস্তবে কিছুই নেই। অসম সংলগ্ন দলদলি, বারবিশা হেমাগুড়ি, ভলকা-সহ ২৫ গ্রামের মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উপর নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতি চলতে পারে না।” ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, শয্যা চালুর ব্যপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |