|
|
|
|
বৃদ্ধার মৃত্যু, সাহায্য দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর পাইলট কারের ধাক্কায় মারা গিয়েছেন অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন মৃতার পরিজনেরা। ২৭ এপ্রিল স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর পাইলট কার শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় তাঁর তুলোরানি বর্মন নামে এক প্রৌঢ়াকে ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশেও পরিজনেরা অভিযোগ জানান। চন্দ্রিমাদেবী পাইলট কারেই মহিলাকে হাসপাতালে পাঠান। শনিবার রাতে সেখানেই মারা যান ওই প্রৌঢ়া। পুলিশ চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে। চালককে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।” মৃতার ছেলে গণেশবাবু একটি কাঠের মিলের শ্রমিক। তাঁর পাঁচ মেয়ে। পরিচারিকার কাজ, দিনমজুরের কাজ করতেন ওই বৃদ্ধা। গণেশবাবু। তিনি বলেন, “স্ত্রীকে নিয়ে ৮ জনের সংসার মা এবং আমার রোজগারে কোনও রকমে চলত। বড় মেয়ে আগামী বছর মাধ্যমিক দেবে। অন্যরাও পড়াশোনা করে। কী হবে বুঝছি না। মন্ত্রীর পাইলট কারের ধাক্কায় মা মারা গেলেন অথচ কেউ একবার গেলেন না। বড় মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা এবং পরিবার এবং অন্য মেয়েদের পড়াশোনা চালানোর জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাই।” এ দিন বিকেলে মৃতার বাড়িতে গিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার সাহায্যের আশ্বাস দেন। চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “পাইলট কার প্রৌঢ়াকে ধাক্কা দেয়নি। ওই প্রৌঢ়া এক হাতে আইসক্রিম এবং অপর হাতে ছাতা নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পাইলট কারে করেই ওই মহিলাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, প্রৌঢ়ার চিকিৎসার জন্য যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে জন্য তিনি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “প্রৌঢ়ার মৃত্যু দুঃখজনক। আমি ওঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলব।” |
|
|
|
|
|