|
|
|
|
যুবকের ঝুলন্ত দেহ শিলিগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি থানার হাকিমপাড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম গোবিন্দ ঘোষ (৩২)। তাঁর একটি মোমো ও চাউমিনের দোকান ছিল। মৃতার স্ত্রী রিঙ্কি দেবীর অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে গোবিন্দবাবুর সঙ্গে তাঁর মা ও ভাইদের বিবাদ ছিল। শনিবার রাতে তা নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তার পরেই এই ঘটনা। বাড়ির লোকেরাই তাঁকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “একটি মামলা করে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় ১২ বছর আগে রিঙ্কি দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় গোবিন্দবাবুর। তাদের দুটি ছোট ছেলে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের পারিবারিক সমস্যা চলছে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী জানান, গোবিন্দবাবু আত্মহত্যা করার বেশ কিছুক্ষণ আগে তাঁর মা রেখা দেবী কাউন্সিলরের কাছে যান। তিনি কাউন্সিলরকে জানান, কিছুদিন আগেও একবার গোবিন্দ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। সম্প্রতি প্রচণ্ড নেশা করতেন তিনি। ওই দিন রাতেও নেশা করে বাড়ি ফেরে এর পরেই বাড়িতে গণ্ডগোল শুরু হয়। বাড়িতে ভাঙচুরের চেষ্টা করে। গ্যাস সিলিণ্ডার খুলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় পরিবারের অন্যদের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। রিঙ্কিদেবীর অভিযোগ, বচসার সময় গোবিন্দবাবুকে স্ত্রী ও ছেলেদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দেন তাঁর মা ও ভাইয়েরা। ওই ঘটনার পরই ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। কাউন্সিলর বলেন, “ওঁর মা আমার কাছে গোবিন্দবাবু নেশা করে গণ্ডগোল করছে বলে জানান। আমি ভাল চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দিই। তার কিছুক্ষণ পরে ফাঁসি দেওয়ার ঘটনা শুনেছি। হাসপাতালেও যাই। দুটি ছোট সন্তান রয়েছে তাঁর। তাঁদের দেখভাল করাই এখন বড় ব্যপার।” পিঙ্কি দেবীর বাবা শিবমন্দিরের বাসিন্দা বাবু দাস বলেন “কেন যে আত্মহত্যা করল তা বুঝতে পারছি না। মেয়ে যেটুকু জানিয়েছে ঘটনার সময় কেউ বাড়িতে ছিলেন না।” গোবিন্দবাবুর মা রেখাদেবীও একটি অভিযোগ করেন থানায়। |
|
|
|
|
|