|
|
|
|
বেটিং-সূত্রে ঠিকাদারকে খুন কি না, ধন্ধে পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
আইপিএলের বেটিংয়ে জড়িয়ে পড়ে আলিপুরদুয়ারের ঠিকাদার কৌশিক দেব খুন হয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শনিবার ওই যুবকের দেহ উদ্ধারের পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ওই যুবক আইপিএলের বেটিং চক্রের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত থাকতে পারেন। তবে তিনি বেটিংয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন না কি সরাসরি ওই চক্রে জড়িত ছিলেন সেটা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। গত ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় কৌশিক নিখোঁজ হন, সেই সময়ে তাঁর মোবাইলে শেষ যাঁর ফোন এসেছিল, সেই ব্যক্তিকে জেরা করছে পুলিশ। দক্ষিণ ভোলারডাবরি এলাকায় বাড়ির কাছেই একটি জমি নিয়ে বিবাদের সঙ্গেও সম্প্রতি তিনি জড়িয়ে গিয়েছিলেন। খুনের পিছনে ওই ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “২৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ থাকা কৌশিক দেবের মৃতদেহ শনিবার সকালে উদ্ধার হয়েছে। হত্যার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।” ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় কৌশিক নিখোঁজ হওয়ার পরে মঙ্গলবার বন দফতরের কর্মীরা টহল দিতে গিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পোরোর জঙ্গলে তাঁর মোটর বাইকটি দেখতে পায়। মোটর বাইকের নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশ কৌশিকের পরিচয় জানতে পারে। পরে তাঁর পরিবারের তরফে প্রথমে নিখোঁজ এবং পরে অপহরণের অভিযোগ করা হয়। মৃতদেহের গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল। মুখ প্লাস্টিক ও তিনটি সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে বাধা ছিল। কৌশিকের মামাতো ভাই প্রীতম সরকার বলেন, “বেটিংয়ের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের বাড়ির পাশে একটি জমি নিয়ে কিছু লোকের সঙ্গে কৌশিকের বিবাদ চলছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।” নিখোঁজের দিন কৌশিকের মোবাইলে শেষ যে ফোনটি এসেছিল তার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করছে। আলিপুরদুয়ার বেলতলার এক বাসিন্দাকে কালচিনি থানায় জেরা করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তির সঙ্গে বারো বছর আগে কৌশিকের কাঠের ব্যবসা ছিল। কিছুদিন হল ফের ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে কৌশিক বেটিংয়ে জড়িয়েছিল বলে আশঙ্কা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|