|
|
|
|
|
|
|
নিরাপত্তা রক্ষা করার কাজ |
শিল্পক্ষেত্রে পরিষেবা বা উৎপাদনের নানা ধরনের কাজের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সুরক্ষা বা নিরাপত্তা। কোনও কারখানা যাতে দুর্ঘটনায় না পড়ে এবং যদি অকস্মাৎ দুর্ঘটনা হয় তা হলে যাতে লোকজন, বিষয়আশয় এবং পরিবেশের ক্ষতি না হয় সেই সূত্রেই ‘ইন্ডাসট্রিয়াল সেফটি’-র ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছে বিভিন্ন কম্পানি। শুধু সুরক্ষার আয়োজন নয়, এই বিষয়ে প্রশিক্ষিতরা সংস্থার নিরাপত্তা সম্পর্কিত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
ইনস্টিটিউট অব ফায়ার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজমেন্ট-এ ফায়ার অ্যান্ড ইন্ডাসট্রিয়াল সেফটি-তে বারো মাসের স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে। শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রকের অন্তর্গত ডায়রেক্টরেট জেনারেল ফ্যাক্টরি অ্যাডভাইস সার্ভিস অ্যান্ড লেবার ইনস্টিটিউটগুলিতে (মুম্বই, কলকাতা, কানপুর, চেন্নাই, ফরিদাবাদ-এ) ইন্ডাসট্রিয়াল সেফটি-তে বিভিন্ন ধরনের ডিপ্লোমা কোর্স আছে। কলকাতায় লেকটাউনে রিজিয়ন্যাল লেবার ইনস্টিটিউটে (২৫৩৪-২৭৩২) এই বিষয়ে খোঁজ নিতে পারে ছাত্রছাত্রীরা। আর যারা দূরশিক্ষার মাধ্যমে এই কোর্স করতে ইচ্ছুক তারা ইগনু-তে (www.ignou.ac.in) ইন্ডাসট্রিয়াল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট-এ এক থেকে তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারে।
|
|
• সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা, স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা সহ বিভিন্ন
কোর্স রয়েছে এই বিষয়ের ওপর।
• সরকারি, বেসরকারি, বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা ছাড়াও নানা রিসার্চ
ও ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
• পড়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি,
অঙ্ক সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান আবশ্যক। |
|
‘পরিবেশবিদ্যা’ নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাশ করেছি। ভবিষ্যতে উচ্চতর শিক্ষা কোথায় করতে পারি?
শাহনাজ পারভীন, পাইকপাড়া
পরিবেশবিদ্যা বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানত স্নাতকোত্তরের পরে এম ফিল, এম টেক বা পিএইচ ডি করা যায়। এ ছাড়া, স্নাতক স্তরের পরেই এই বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স করা যায়। এ রাজ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে এম ফিল পড়ার সুযোগ রয়েছে। গত বছর থেকেই যাদবপুরে এনভায়রনমেন্টাল রেগুলেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এ ১ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও পরিবেশবিদ্যা নিয়ে পিএইচ ডি করা যায়। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অ্যান্ড সোশাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট-এ (http://www.iiswbm.edu/) এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট-এর ২ বছরের
কোর্স রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (www.du.ac.in), জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লি (www.jnu.ac.in), অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় (http//www.andhra univer-sity.info/courses.html), কোচিন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি, কেরল (http://sesscusat.ac.in) প্রভৃতিতে বি এসসি/ এম এসসি সহ বি ই, বি টেক ইত্যাদি পড়ানো হয়। এ ছাড়া, পাতিয়ালার থাপার ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলজি (www.thapar.edu)-তে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সে এম টেক, কোয়মবত্তূরের ভারাতীয়ার ইউনিভার্সিটি (www.b_u.ac.in)-এ এম ফিল, পিএইচ ডি করা যায়। জম্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে (www.jammuuniversity.in)-এ এম এসসি, এম ফিল, পি এইচ ডি, ভোপালের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (www.iiserb.ac.in)-এ পিএইচ ডি এবং জওহরলাল নেহরু টেকনলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি-তে পার্ট টাইম এম টেক-এর সুযোগ রয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ভবিষ্যতে ‘গেম ডেভেলপমেন্ট’ নিয়ে পড়তে চাই। কোথায় পড়া যাবে?
প্রীতম চট্টোপাধ্যায়, সোদপুর
গেম ডেভেলপমেন্ট-এর বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে, যেমন ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ইত্যাদি। পিকাসো অ্যানিমেশন কলেজ (http://www.picasso.co.in)-এর পিকাসো গেম অ্যান্ড আর্ট প্রোগ্রাম-এর একটি ১ বছরের সার্টিফিকেট কোর্স রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই এই কোর্সটি করা যায়। পুণের মায়া অ্যাকাডেমি অব অ্যাডভান্সড সিনেমাটিক্স বা ম্যাক (http://www.maacpune.com)-এ গেম ডিজাইন অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশনের একটি ১ বছরের সার্টিফিকেট কোর্স রয়েছে। দুটি সেমেস্টারে ভাগ করা এই কোর্সের প্রথম ৬ মাসে গেম ডিজাইন এবং পরের ৬ মাসে গেম আর্ট অ্যান্ড ইন্টিগ্রেশনের ক্লাস করানো হয়। এ ছাড়া, বেঙ্গালুরুর ইমেজ কলেজ অব আর্টস, অ্যানিমেশন অ্যান্ড টেকনলজি (http://www.icat.ac.in/courses-b-a-game-development-content.asp)-তে ৩ বছরের বিএ ডিগ্রি কোর্স ছাড়াও ১ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হয়। এ ছাড়া, কলকাতার এরিনা মাল্টিমিডিয়া (www.arena-multimedia.com)-য় গেম আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন-এর ১৫ মাসের একটি কোর্স করানো হয়। অ্যানিটুপিক্স (www.ani2pix.com)-এ ১ বছরের গেম ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কোর্স রয়েছে। এ ছাড়া, ভারচুয়াল ইনফোকম (www.virtualinfocom.com)-এ ১ বছরের গেম প্রোগ্রামিং কোর্স করানো হয়। এই কোর্সের পর গেম ডেভেলপার বা গেমিং আর্টিস্ট হিসেবে ম্যানুয়াল বা ডিজিটাল দু’ধরনের কাজই পাওয়া যায়।
|
|
ফোকাস
অলোককুমার শীল শিক্ষক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
|
উচ্চ মাধ্যমিকের পর মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়তে চাই। কোথায় পড়ব? উচ্চশিক্ষার কী সুযোগ আছে?
পারিজাত রায়, বর্ধমান
উচ্চ মাধ্যমিকের পর মাইক্রোবায়োলজি’তে অনার্স পড়া যায় লেডি ব্রেবোর্ন, আশুতোষ, স্কটিশ চার্চ, বিধাননগরের মত অনেক কলেজে। বিএসসি করে কলকাতা, কল্যাণী, বর্ধমান, বিদ্যাসাগর, উত্তরবঙ্গ ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এসসি পড়া যায়। এ ছাড়া বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনলজি, মলিকিউলার বায়োলজি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, জেনেটিক্স ইত্যাদি বিষয়ে মাইক্রোবায়োলজি অনার্সের ছাত্রছাত্রীরা এম এসসি পড়তে পারে। কল্যাণীর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে লাইফ সায়েন্সে ইন্টিগ্রেটেড এম এসসি পিএইচ ডি করা যায়। বোস ইনস্টিটিউটেও লাইফ এই বিষয়ে এম এসসি পিএইচ ডি করতে পারে ছেলেমেয়েরা। কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজির পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরে এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা করার ক্ষেত্রে টিআইএসএস, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু হল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। |
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|