বাড়ির সামনে ঘর তৈরিতে বাধা দেওয়ায় এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে মারধর করে গায়ে নুন ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েক জনের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে তাঁর স্বামীকেও গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দম্পতিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাল্টা ওই দম্পতির বিরুদ্ধেও দলবল নিয়ে হামলার অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। রবিবার সকালে সন্দেশখালি থানার পুঁটিমারি গ্রামের ঘটনা। এসডিপিও (বসিরহাট) আনন্দ সরকার বলেন, “ঘটনার পর দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোলমাল এড়াতে আপাতত ওখানে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির জমির সামনে পূর্ত দফতরের একটি জমি রয়েছে। সেই জমিতে একটি ঘর তৈরি করা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে কয়েক জন গ্রামবাসীর সঙ্গে দম্পতির ঝামেলা চলছিল। সম্প্রতি পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষকেই বিবাদ না বাড়ানোর পরামর্শ দেয়। ঘর তৈরির কাজও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু রবিবার ফের ঘর তৈরির কাজ শুরু হলে গোলমাল বাধে।
ওই মহিলা বলেন, “আমার জমির সামনে ঘর করতে নিষেধ করলে গ্রামেরই কয়েক জন যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে মারধর করে। গায়ে নুন ছিটিয়ে দেয়। স্বামী বাধা দিলে তাঁকেও প্রচণ্ড মারধর করা হয়।”
আহতেরা তৃণমূল এবং অভিযুক্তেরা সিপিএম এবং কংগ্রেস সমর্থক হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনাটিতে রাজনীতির রং লেগেছে। সংশ্লিষ্ট কালীনগর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শঙ্কর মণ্ডল বলেন, “পরিকল্পনা করেই সিপিএমের লোকজন ওই দম্পতির উপরে হামলা চালায়। তাঁদের নির্যাতন করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের না ধরলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” সিপিএমের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সিপিএম নেতা অনুপ দাস বলেন, “ঘর তৈরি নিয়ে ওই দম্পতির সঙ্গে কয়েক জন গ্রামবাসীর সামান্য ঝামেলা হয়েছে। তত মারাত্মক কিছু হয়নি। অযথা রাজনীতির রং চড়ানো হচ্ছে।” |