শেষ দু’ওভারে দরকার ১৫ রান। হাতে ৯ উইকেট। নিশ্চিত জয়ের এমন পরিস্থিতি থেকে রাজস্থান রয়্যালস ১ রানে হেরে বসল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে। আর ডেকান চার্জার্সের ১০০ রানের টার্গেটও রীতিমতো কষ্ট করে পেরিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জিতল ৫ উইকেটে। রাজস্থানের অজিঙ্ক রাহানের ৬৩ বলে ৮৪ রান যেমন কাজে এল না, তেমনই মুল্য পেল না ডেকানের ডেল স্টেইনের দুরন্ত ফাস্ট বোলিং (৪ ওভারে ২-১০)।
কোটলায় এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৫২-৬ তোলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ম্যাচের সেরা বীরেন্দ্র সহবাগ (৩৯ বলে ৬৩) ছাড়া বড় রান পাননি কেউ। ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকা লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯৯ রান তুলে দেয় রাহুল দ্রাবিড় (৪০) এবং রাহানের ওপেনিং জুটি। |
রবিবার ৩৯ বলে ৬৩। আইপিএলে সহবাগ-ঝড় চলছেই। ছবি: পিটিআই |
শেষ বলে দু’রান দরকার ছিল রাজস্থানের। রাহানের দুর্ভাগ্য, শেষ বলে রানআউট হয়ে যান তিনি। ম্যাচের পরে টিম মালকিন শিল্পা শেঠি টুইট করে অভিযোগ করেছেন ১৯ নম্বর ওভারের চতুর্থ বলটা আম্পায়ারের ওয়াইড না ডাকা নিয়ে। রাজস্থান অধিনায়ক অবশ্য সে রকম কোনও অভিযোগ প্রকাশ্যে করেননি। “কাজটা একেবারে শেষ পর্যন্ত ছেড়ে রেখেছিলাম বলেই হারলাম,” ব্যাখ্যা দ্রাবিড়ের। রবিবার জিতে আইপিএল টেবিলে দু’নম্বরে থাকা কেকেআরের (১১) চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে গেল দিল্লি (১৪)।
ওয়াংখেড়েতে টস জিতে ডেকানকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে হরভজন সিংহ পুরোপুরি সফল। নিজে বোলিং ওপেন করে দু’উইকেট তোলেন মুম্বই ক্যাপ্টেন। যিনি আগের দিন বলেছিলেন, “আইপিএলে নিজের বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এর থেকে আমাকে বেরোতেই হবে।” নিজে তো বল হাতে ফর্মে ফিরলেনই হরভজন, পাশাপাশি লাসিথ মালিঙ্গাকে তৃতীয় পেসার হিসেবে ব্যবহার করে ডেকানের মিডল অর্ডারে ধস নামান তিনি। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হৃদপিণ্ড সচিন তেন্ডুলকর (১৪) এ দিনও ব্যর্থ। রোহিত শর্মা স্টেইনের গোলাগুলি সামলে ৪২ রান না করলে মুম্বই বিপদেও পড়তে পারত। শেষের দিকে ১৫ বলে মূল্যবান ১৯ নটআউট করেন অম্বাতি রায়াডু। ১৯তম ওভারে ১০১-৫ তুলে মুম্বই (১০ পয়েন্ট) তিন নম্বরে উঠে এল। |