|
|
|
|
মজে যাচ্ছে বেহুলা নদী, সংস্কারের দাবি বসিন্দাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
মজে যাচ্ছে বেহুলা নদী। কালনার রামেশ্বর থেকে রুস্তমপুর- এই ৭ কিলোমিটার নদী সংস্কার ও জল ধরে রাখার জন্য কয়েকটি ‘লক-গেট’ বসানোর দাবি জানালেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, তিন দশক আগে ওই নদীতে বড় আকারে সংস্কারের কাজ হয়েছিল। তার পরে আর হয়নি। ফলে দু’দশক ধরে ক্রমশ মজে যাচ্ছে নদী। ভিতরে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বর্ষায় প্লাবিত হচ্ছে আশপাশের গ্রাম। অন্য দিকে, গ্রীষ্মে চাষের প্রয়োজনে জল মিলছে না। বাধ্য হয়ে চড়া দামে জল কিনছেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, প্রশাসনকে বারবার নদী সংস্কারের আবেদন জানিয়ে লাভ হয়নি কোনও। যদিও মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি বলেন, “এমন সমস্যার কথা জানি না। তবে চাষিরা ওই ব্যাপারে আমায় আবেদন জানালে দ্রুত তা জেলায় পাঠাব।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
মজে যাচ্ছে বেহুলা নদী। কালনার রামেশ্বর থেকে রুস্তমপুর- এই ৭ কিলোমিটার নদী সংস্কার ও জল ধরে রাখার জন্য কয়েকটি ‘লক-গেট’ বসানোর দাবি জানালেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, তিন দশক আগে ওই নদীতে বড় আকারে সংস্কারের কাজ হয়েছিল। তার পরে আর হয়নি। ফলে দু’দশক ধরে ক্রমশ মজে যাচ্ছে নদী। ভিতরে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বর্ষায় প্লাবিত হচ্ছে আশপাশের গ্রাম। অন্য দিকে, গ্রীষ্মে চাষের প্রয়োজনে জল মিলছে না। বাধ্য হয়ে চড়া দামে জল কিনছেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, প্রশাসনকে বারবার নদী সংস্কারের আবেদন জানিয়ে লাভ হয়নি কোনও। যদিও মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি বলেন, “এমন সমস্যার কথা জানি না। তবে চাষিরা ওই ব্যাপারে আমায় আবেদন জানালে দ্রুত তা জেলায় পাঠাব।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার দশক আগেও সারা বছর বৃষ্টির জল থাকত নদীতে। পাড় ঘেঁষা ধমর্ডাঙা, কদম্বা, রঙপাড়া, লিচুতলা, ওমরপুর, কোলডাঙা, মিরপুর-সহ ২৫টি গ্রামের চাষি ওই নদীর জলে চাষের প্রয়োজন মেটাতেন। ফসলও ভাল হত। কিন্তু সংস্কারের অভাবে গত দু’দশক ধরে ওই নদী মজে যেতে থাকে। গরমে সেচের জন্য জল প্রয়োজন হলে তা মেলে না। চলতি বছরে নদীর বেশির ভাগ জায়গাতেই ঘটি ডোবানোর মতো জলও নেই। সরু নালার চেহারা নিয়েছে তা। ধর্মডাঙা গ্রামের এক চাষি, কমল কোলের বক্তব্য, মরশুম পিছু চাষের জন্য প্রতি বিঘা ১২০০ টাকার জল কিনতে হয় চাষিদের। ইচ্ছা থাকলেও বোরো মরশুমে ধান চাষ করা যায় না। পাট, তিল, পেঁয়াজের মতো কম জল লাগে এমন ফসলের চাষ করতে হয়। ধর্মডাঙা গ্রামের আসগার আলি শেখ, সাধপুকুর এলাকার সুকলাল টুডু, রুস্তমপুর গ্রামের আসান আলি শেখদের ক্ষোভ, নদীর পাড় লাগোয়া গ্রামের মাঠগুলিতে তিনটি গভীর নলকূপ থাকলেও সেখান থেকে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায় না। অন্য দিকে, বর্ষায় প্লাবিত হয় ধর্মডাঙা, কোলডাঙা-সহ বেশ কিছু গ্রাম। আবার জমা জল দীর্ঘদিন এক জায়গায় থাকায় মাঠে পচে নষ্ট হয় ধান-সহ অন্যান্য ফসল। চাষিরা জানান, বছর দুয়েক আগে হাটকালনা পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের প্রকল্পে কিছু এলাকায় নদীর সংস্কার এবং পাড় বাঁধানোর কাজ হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কোনও। তাঁদের বক্তব্য, নদী সংস্কারের পাশাপাশি যদি যন্ত্রের মাধ্যমে প্রায় ৪০ ফুট গভীর মাটি কেটে রামেশ্বরপুর, জঙ্গলপাড়া,এবং সাধপুকুর এলাকায় তিনটি নতুন লক-গেট তৈরি করা যায় এবং কৈখালিগ্রামের লক-গেটটি মেরামত করা যায় তবে বর্ষার জল জমিয়ে রাখা যাবে সেখানে। গরমে যেমন তা চাষের প্রয়োজনে লাগবে, তেমনই বর্ষাতেও প্লাবনের সম্ভাবনা কমবে। |
|
|
|
|
|