নিজস্ব সংবাদদাতা • বলাগড় |
রাজ্য সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকায় বলাগড়ের কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভূগোলের পরীক্ষাগার (ল্যাবরেটরি) গড়ে দিলেন মাওবাদীদের হাতে নিহত ব্যান্ডেলের সৌম্যজিৎ বসুর পরিবার। ওই স্কুলেরই ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন সৌম্যজিৎ।
শনিবার স্কুলের ৫০তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ওই পরীক্ষাগারের উদ্বোধন করেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ২০১০-এর ২১ অক্টোবর পরিবেশপ্রেমী সৌম্যজিৎ পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন পুলিশকর্মী পার্থ বিশ্বাস। দু’জনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়। ২০১১ সালের ১১ জুন দু’জনের মৃতদেহ মেলে। মাওবাদীরাই তাঁদের খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ-প্রশাসন। ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য এক লক্ষ টাকা দেয় সৌম্যজিতের পরিবারকে। স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাগারটি গড়তে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অনুষ্ঠানে ছিলেন সৌম্যজিতের স্ত্রী স্বচ্ছতোয়া, ছেলে আরণ্যক, মা সুমিতাদেবী এবং দাদারা। স্বচ্ছতোয়াদেবী বলেন, “স্বামী এখানে ভূগোল পড়াতেন। তাই এই স্কুলে ওঁর স্মৃতিতে পরীক্ষাগার গড়তে মনস্থ করি আমরা। ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হলে আমরা শান্তি পাব।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বসু পরিবারের এই সিদ্ধান্তে ছাত্রছাত্রীরা অনেকটাই উপকৃত হবে।” মন্ত্রী বলেন, “মাওবাদীদের হাতে খুন হন সৌম্যজিৎ। তাঁর পরিবারের সৌজন্যে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে। সৌম্যজিতের স্মৃতিও অটুট থাকবে।” সৌম্যজিতের দাদা সুজিত বসু বলেন, “ক্ষতিপূরণের বাকি টাকায় ভাইয়ের স্মৃতিতে আর কী করা যায়, তা নিয়ে পরিবারে আলোচনা হবে।” |