কালভার্ট নির্মাণের কাজে শ্রমিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন জখম হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে ইসলামপুর থানার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলিয়াবাদ এলাকায়। ওই ঘটনায় দু’পক্ষের সমর্থকেরাই পাথর ছোড়াছুড়ি করে বলে অভিযোগ। বোমা মারার অভিযোগও উঠেছে। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি প্রদীপকুমার সিংহ বলেন, “এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে ঢিল ছোড়াছুড়ি হয়। বোমাবাজির কোনও খবর নেই। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।” |
ইসলামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগারমন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীর বিধায়ক প্রতিনিধি তথা ইসলামপুরের তৃণমূলের অন্যতম নেতা জাভেদ আখতার অবশ্য বলেছেন, “সংঘর্ষ তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে হয়েছে। আমরা নিজেরাই বসে তা মিটিয়ে নেব।” চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমান অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ওই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। হামলাকারীরা আমাদের সংগঠনের কেউ নন।” তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমান তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় দলের দু’টি গোষ্ঠীর বিবাদ তুঙ্গে ওঠে। একটি অংশ ‘পুরনো তৃণমূল’ কর্মীদের। তাঁরা রাজ্যের মন্ত্রী আবুল করিম চৌধুরীর অনুগামী বলে দলীয় মহলে পরিচিত। অন্য পক্ষ ‘হামিদুর গোষ্ঠী’ বলে পরিচিত। সম্প্রতি হামিদুর গোষ্ঠীর একজন ঠিকাদার ৮০ হাজার টাকায় ধলিয়াবাদ এলাকায় কালভার্ট তৈরির কাজ পান। দু’দিন ধরে ওই কাজ চলছিল। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এলাকার শ্রমিকদের কাজে নেওয়া হয়নি। বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়ে গিয়ে ওই কাজ হচ্ছিল। এ দিন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকেরা সেখানে গিয়ে কাজের দাবি করেন। সেই সময় অন্য পক্ষ হামলা চালায়। ‘পুরনো তৃণমূল’ কর্মীদের দাবি, লাঠি নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। পরে তাঁদের লক্ষ করে পাথর ছোড়া হয়। বোমা ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। ঢিলের আঘাতে বেশ কয়েকজন জখম হন। লাঠির আঘাতেও কয়েকজন জখম হয়েছেন। |