এইচআইভি আক্রান্ত মায়ের শরীর থেকে সদ্যোজাত সন্তানের দেহে ওই রোগের সংক্রমণ রুখতে নয়া পথের হদিশ দিলেন এক দল গবেষক। তাঁদের দাবি, সন্তানের জন্মের পর যদি অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি)-এর মাধ্যমে মায়ের চিকিৎসা চালানো হয় এবং চিকিৎসা চলাকালীন ওই মা যদি দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সন্তানকে স্তন্যপান করান, তা হলে সন্তানকে এইচআইভি থেকে বাঁচানো সহজ হয়ে যাবে। তবে বিজ্ঞানীদের মতে, কেউ যদি ছ’মাসের আগেই স্তন্যপান করানো বন্ধ করে দেন, এইআইভি সংক্রমণ থেকে তাঁর শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। ‘দ্য ল্যানসেট’ পত্রিকায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এই অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি কী? এইচআইভি প্রতিরোধক কয়েকটি ওষুধকে প্রয়োজনমাফিক মিলিত ভাবে দেওয়াকেই অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি বলে। ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেকটাই নষ্ট করে দেয় ওই ওষুধগুলি। দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর বিজ্ঞানী ডেনিস জেমসন। ২০০৪ থেকে টানা প্রায় ছ’বছর আড়াই হাজার এইচআইভি আক্রান্ত মা ও তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানদের নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। তাঁর কথায়, “এই প্রতিরোধক মায়ের শরীর থেকে শিশুর দেহে এইআইভি-১ সংক্রমণ কমাতে সক্ষম। যদিও এ পথে চিকিৎসা করানোর পরেও সংক্রমণের খবর মিলেছে। তবে দেখা গিয়েছে ওই সব মায়েরা খুব তাড়াতাড়ি স্তন্যপান করানো বন্ধ করে দিয়েছেন। ২৮ সপ্তাহেরও বেশি সন্তানকে স্তন্যপান করালে এআরটি অব্যর্থ ভূমিকা নেবে।” এইচআইভি সংক্রমণ ঠেকাতে ‘হু’-ও এখন এআরটি থেরাপিটিকেই বেছে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেনিস। |