টুকরো খবর
আইসক্রিম থেকে বিষক্রিয়ার অভিযোগ
আইসক্রিম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল তিনটি স্কুলের শতাধিক ছাত্রছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে কাকদ্বীপের রামরতনপুর বাপুজি উচ্চ বিদ্যালয় এবং গ্রামেরই একটি প্রাথমিক স্কুল ও একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে। অসুস্থ পড়ুয়াদের কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অধিকাংশকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ওই তিনটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা স্কুল শুরুর আগে দুই আইসক্রিম বিক্রেতার কাছ থেকে আইসক্রিম কিনে খায়। স্কুল শুরুর কিছু ক্ষণ পরে থেকেই হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পেটে ব্যথা হচ্ছে বলে শিক্ষকদের জানায়। এই খবর রটতেই কারও কারও বমি হতে শুরু করে। প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রেও একই অবস্থা হয়। খবর পেয়ে অভিভাবকেরা চলে আসেন। তাঁরা ঝুঁকি না নিয়ে ছেলেমেয়েদের হাসপাতালে নিয়ে যান। অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, আইসক্রিম থেকে বিষক্রিয়ার জেরেই এই ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১০২ জন পড়ুয়াকে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দেরিতে ভর্তি হওয়া ২ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, “আতঙ্কে থেকেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।”

পরিকাঠামো দেখতে কমিটি
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে কাল, শনিবার মেদিনীপুরে আসছে স্বাস্থ্য দফতরের এমপাওয়ার্ড কমিটি। পরিদর্শক দলে থাকবেন ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসেস বিশ্বরঞ্জন সৎপতি, স্বাস্থ্য দফতরের স্পেশাল সেক্রেটারি মনোজ চৌধুরি, টেকনিক্যাল অফিসার সমুদ্র সেনগুপ্ত, সাংসদ কাকলি দোষদস্তিদার প্রমুখ বলে কলেজ সূত্রে খবর। পরিদর্শক দলের আসার কথা জানতে পেরে বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজে এক জরুরি বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ শুদ্ধধন বটব্যাল-সহ কলেজ ও হাসপাতালের আধিকারিকেরা। হাসপাতালে কতগুলি শয্যা রয়েছে, কত জন ভর্তি থাকেন, প্রতিদিন কতজন বহির্বিভাগে আসেন, এ সব কিছুই পরিদর্শক দল খোঁজ নেবে। পাশপাশি, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও কী কী প্রয়োজন, সেই সম্পর্কেও ওই দল জানতে চাইতে পারে। তাই এ সব কিছুর একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা দিলেন গ্রামবাসী
ডাক্তার অনিয়মিত, ওষুধপত্রও মেলে না, এমনকী সময়মতো হাসপাতাল খোলেও না এমনই সব অভিযোগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার গোয়ালতোড় ব্লকের শালবনি গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে। আসে পুলিশ। দুপুর ৩টে নাগাদ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা সুব্যবস্থার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হয়। করকাটা, শিরিষবনি, শালবনি, মেডালা, বুলানপুর-সহ গোটা তিরিশেক গ্রামের মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। জেলার অন্য প্রান্ত, এমনকী বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা থানার তফসিলি অধ্যুসিত এলাকার বহু মানুষও এখানে আসেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সরকারি ডাক্তারের ৬ দিন আসার কথা থাকলেও বেশির ভাগ সময়েই তিনি থাকেন না। প্রয়োজনমতো ওষুধ পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রও নিয়মিত খোলা হয় না। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “গ্রামীণ হাসপাতালে সরকারি ডাক্তারের ৬ দিনই যাওয়ার কথা। পর্যাপ্ত ওষুধপত্রও থাকা উচিত। কেন এমন হল তা জানতে হবে।”

হাসপাতালে নতুন মেশিন
বিধায়ক তহবিলের টাকায় কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে রোগী সুশ্রুষায় দু’টি যন্ত্র কিনে দিলেন কল্যাণীর তৃণমূল বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। বুধবার মেশিন দুটি উদ্বোধন করেন তিনি। হাসপাতাল সুপার নিরুপম বিশ্বাস বলেন, “চারটে অটোক্লেভ মেশিনের তিনটি বেহাল। যন্ত্রটা পাওয়ায় উপকার হয়েছে।” হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান ইন্দ্রনীল পাল বলেন, “এই যন্ত্রের অভাবে বহুবার রোগীদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখন তা করতে হবে না।”

বিয়ে বাড়ির বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ
বিয়েবাড়ির বাসি খাবার খেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রায় ৪০ জন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থরা প্রত্যেকেই রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকার বাসিন্দা মৃণালকান্তি মাল বলেন, “গতকাল বাড়িতে বোনের বিয়ে ছিল। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে অনেক আত্মীয়স্বজন ছিলেন। রাতের কিছু বেঁচে যাওয়া খাবার এ দিন জলখাবারে খেতে দেওয়া হয়েছিল। দুপুর থেকেই অনেকের মধ্যে বমি-বমি ভাব, পেট ব্যথা, পায়খানা হতে থাকে।” চিন্তিত মৃণালবাবুরা এরপরই অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু ও মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.