জেলায় দু’টি পৃথক বধূ-হত্যার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বরাবাজার থানার সিধাগোড়া গ্রামে শিপ্রা মহান্তি (২০) নামে এক বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে পুলিশ বধুর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এক বছর আগে বলরামপুর থানার গাদো গ্রামের বাসিন্দা রামপদ পাঠকের মেয়ে শিপ্রার সঙ্গে বরাবাজার থানার সিধাগোড়া গ্রামের বাসিন্দা সুপ্রিয় মহান্তির বিয়ে হয়। রামপদবাবু পুলিশকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর মেয়ের উপরে অত্যাচার চালাতেন। মঙ্গলবার রাতে খবর আসে, শিপ্রা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। রামপদবাবুর কথায়, “বুধবার সকালে এসে দেখি অর্ধদগ্ধ অবস্থায় মেয়ে পড়ে রয়েছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির পড়শিদের কাছে জানতে পারি, ওই রাতে তাঁরা চেঁচামেচির আওয়াজ শোনেননি। বাড়িতে আগুন দেখে পড়শিরা ছুটে এসে দেখেন ওই কাণ্ড। আমার ধারণা শিপ্রাকে খুন করা হয়েছে।” অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিপ্রার স্বামী সুপ্রিয় ও শ্বশুর সুধীর মহান্তিকে বুধবার গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত শাশুড়ি শিখা মহান্তির খোঁজ মেলেনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
অন্য দিকে, পুরুলিয়া মফসসল থানা এলাকার বোঙাবাড়ি গ্রামের বন্দনা মাহাতো (২৫) নামে এক বধূকে সোমবার গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। বছর পাঁচেক আগে পুরুলিয়া সদর থানার নডিহা এলাকার বাসিন্দা বন্দনাদেবীর সঙ্গে বোঙাবাড়ির বাসিন্দা জগবন্ধু মাহাতোর বিয়ে হয়। বন্দনাদেবীর মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পর থেকেই পণ সংক্রান্ত ব্যাপারে শ্বশুরবাড়িতে তাঁর মেয়ের উপর মানসিক ও শারীরিক নিযার্তন চালানো হত। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার স্বামী জগবন্ধু, ভাসুর বিশ্বনাথ এবং দুই জা অজন্তা ও বাসন্তী মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে। জগবন্ধুও অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সদর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। আজ, শুক্রবার বাকি ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। |