|
|
|
|
দাদাকে মারধর |
রাজীব খুনের বারাসতে গাড়িতে ছাত্রী অপহরণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বছরখানেক আগে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র রাতে বারাসত শহরে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাজীব দাস। বৃহস্পতিবার রাতে সেই বারাসতেরই জনবহুল রাস্তায় জেঠতুতো দাদাকে মারধর করে ১১ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে রাতেই বারাসত থানায় অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
পুলিশ জানায়, অপহৃত ছাত্রীর নাম অনুষ্কা দাস। তার বাবা রতন দাস ব্যবসায়ী। বারাসতের মিলনপল্লির বাসিন্দা অনুষ্কা বিকেলে বাড়ির কাছেই বাণী নিকেতনে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল। রাত ৯টা নাগাদ সে তার জেঠতুতো দাদার সঙ্গে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। ব্যারাকপুর-বারাসত রোডে একটি গাড়ি তাদের পথ আটকায়। তিন জন নেমে এসে মেয়েটিকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। মেয়েটির দাদা রনি দাস বাধা দেওয়ায় দুষ্কৃতীরা তাকে পেটায়। তার পরে মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে ব্যারাকপুরের দিকে পালিয়ে যায়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও শত্রুতার জেরে, নাকি নিছক অর্থের জন্যই অনুষ্কাকে অপহরণ করা হয়েছে, নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তল্লাশি শুরু হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্কা বা দুষ্কৃতীদের খোঁজ মেলেনি। ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে দিদি রিঙ্কু দাসকে সাইকেলে বসিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বারাসতে জেলাশাসকের বাংলোর কাছে আক্রান্ত হয়েছিল রাজীব। দুষ্কৃতীরা দিদিকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করায় সে রুখে দাঁড়ায়। দুষ্কৃতীরা তাকে বেধড়ক পেটায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। অফিসপাড়ার বিভিন্ন বাংলোর দরজায় সাহায্য চেয়েও পাননি রিঙ্কু। পরের দিন মারা যায় রাজীব। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তারও পরে গত এক বছরে বারাসতে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। কখনও দুষ্কৃতীদের অভব্য আচরণের শিকার হয়েছেন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল, কখনও বা ছিনতাইবাজদের খপ্পরে পড়েছেন পুলিশ অফিসারের স্ত্রী। তিন দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করতে গিয়ে পাল্টা গুলির হাত থেকে কোনও মতে বেঁচে যান বারাসত থানার এক অফিসার। গত ৮ এপ্রিল ভরসন্ধ্যায় নববধূর গয়না ছিনতাই রুখতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খান তাঁর স্বামী। তার পরে এ দিনের অপহরণ দেখিয়ে দিল, পুলিশ যতই তৎপরতার বড়াই করুক, বারাসতে দুষ্কৃতী-রাজ চলছেই। |
|
|
|
|
|